পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তৃণমূলের নব নির্বাচিত বিধায়ক ও মন্ত্রীদের নাগরিক সংবর্ধনা দিল ঘাটাল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার ঘাটাল কলেজে সংবর্ধনা সভায় জেলার ১৭ জন বিধায়ক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ও অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতো। তবে ব্যস্ততার কারণে হাজির থাকতে পারেননি পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
কেন এমন উদ্যোগ?
ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলইয়ের সাফ কথা, “ঘাটালে পরিকাঠামোর নানা সমস্যা রয়েছে। তাই বিধায়ক ও মন্ত্রীদের ঘাটালে এনে সমস্যার কথা তুলে ধরাই একমাত্র লক্ষ্য।” তৃণমূলের ঘাটাল শহর কমিটির সম্পাদক অরুণ মণ্ডল জানান, জেলার সমস্ত বিধায়ক এবং মন্ত্রীরা ঘাটালে আসায় তাঁরা গর্বিত।’’ বিধায়ক ও মন্ত্রীদের উত্তরীয় ও স্মারক তুলে দেন ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষে দিলীপ মাঝি ও বিকাশ কর। উপহার হিসাবে ঘাটালের বিখ্যাত পিতলের থালা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া হয়। তবে এ দিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন না দলের ঘাটাল ব্লক সভাপতি অজিত দে।
এ দিন আনুষ্ঠানিকভাবে সিপিএমের ঘাটাল শহর লোকাল কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক তুহিন বেরার হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। অজিত মাইতির কথায়, ‘‘শুধু দলে ঢুকলেই চলবে না। দলের নিয়ম মেনে এলাকায় কাজ করতে হবে। সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে হবে। কেউ যদি নিজের প্রয়োজনে বা অন্য কোনও উদ্দেশ্যে দলকে ব্যবহার করেন-তাহলে দল ছেড়ে কথা বলবে না।” গোষ্ঠী-কোন্দল রুখতে কড়া বার্তাও দেওয়া হয় সভামঞ্চ থেকে।
তবে পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তুহিনবাবু তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি তৃণমূলেরই একটি গোষ্ঠী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের ঘাটাল শহর কমিটির এক সদস্য বলেই ফেললেন, “এমনিতেই তিন নম্বর ওয়ার্ডে তিনটি গোষ্ঠী। তার জেরে বিধানসভা ভোটে ওই ওয়ার্ডে তৃণমূল বহু ভোটে পিছিয়ে। এবার কোন্দল আরও বাড়ল।” ওই নেতার সাফ কথা, “কোনও পরিবারে ভাঙন ধরলে সেই পরিবার কি বেশিদিন টেকে? তৃণমূলের কিছু নেতার জন্যই দলটাও একদিন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়বে।”