ছড়াচ্ছে ট্যারান্টুলা আতঙ্ক

ছড়াচ্ছে ট্যারান্টুলার আতঙ্ক। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বেলদা এবং মেদিনীপুরের কয়েক জায়গায় মিলেছে ট্যারান্টুলা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বেলদা ও মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৮ ০২:১১
Share:

ছড়াচ্ছে ট্যারান্টুলার আতঙ্ক। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বেলদা এবং মেদিনীপুরের কয়েক জায়গায় মিলেছে ট্যারান্টুলা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ বেলদা থানার অর্জুনীর বাসিন্দা সমীর দাসের বাড়িতে দেখা যায় রোমশ মাকড়সা। ছড়ায় আতঙ্ক। পরে মাকড়সাটি কৌটোতে ধরে রাখেন বাড়ির লোকজন। সমীরবাবু জানিয়েছেন, এ দিন সকালে বন দফতরের হাতে মাকড়সাটি তুলে দেওয়ার আগে সেটি মারা যায়। সমীরবাবু বলেন, ‘‘পরপর দু’দিন দু’টি ট্যারান্টুলা বাড়িতে দেখতে পেলাম। একটিকে আতঙ্কে মেরে ফেলেছে বাড়ির লোক। বৃহস্পতিবার ফের দেখা পাওয়ায় আতঙ্ক বাড়ছে।’’ বৃহস্পতিবার রাতেই বেলদা সবুজপল্লির বাসিন্দা পীযূষকান্তি দাস তাঁর বাড়ির উঠোনে একটি মাকড়সা দেখেন। ধরতে গিয়েই মারা যায় সেটি। এ দিন সকালে ঠাকুরচকের বাসুদেব দাসের বাড়ি থেকে আরও একটি ট্যারান্টুলা পাওয়া গেছে। কৌটেতে ধরে রেখে বেলদা বন দফতরে জমা দেন তিনি।

বেলদার বন আধিকারিক আশিসকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘এলাকায় যে মাকড়সাগুলি পাওয়া যাচ্ছে সেগুলি ট্যারান্টুলাই। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কয়েকটি ট্যারান্টুলার সন্ধান মিলেছে।’’ একের পর এক ট্যারান্টুলা উদ্ধারের ঘটনায় ছড়াচ্ছে আতঙ্ক। যদিও আশিসবাবু বলেন, ‘‘ট্যারান্টুলা গরমে মাটির নীচ থেকে বেরিয়ে আসে। তবে এমনিতেই কামড়ায় না। গায়ে উঠলে তার পায়ে থাকা রোম লাগতে পারে। ততটা ক্ষতির দিক নেই। অহেতুক আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।’’ তা হলে উপায় কী? আশিসবাবুর পরামর্শ, ‘‘বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে। কীটনাশক দ্রব্য-সহ ব্লিচিং ছড়ালে বাড়িতে আসা আটকানো যেতে পারে। কামড়ালে জায়গাটি সাবান দিয়ে ধুতে হবে। পরে ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।’’

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাতে মেদিনীপুর শহরের পাঠানমহল্লায় রাস্তা থেকে একটি ট্যারান্টুলা উদ্ধার হয়। বড় মাকড়সা দেখে এলাকার অনেকে ভিড় করেন। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। বনকর্মীরা এসে মাকড়সাটি উদ্ধার করে নিয়ে যান। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ ওয়ারেশের কথায়, “বড়সড় মাকড়সা দেখে অনেকেই ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। পরে জানা যায় এটি ট্যারান্টুলা।” শহরের জগন্নাথমন্দিরচকের একটি বাড়িতেও ট্যারান্টুলা দেখতে পাওয়া যায়। মেদিনীপুরের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা মানছেন, “মেদিনীপুর থেকে মাকড়সা উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মাকড়সা ভারতীয় ট্যারান্টুলা প্রজাতির বলে মনে হচ্ছে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন