মিষ্টির দোকানিকে মারধর, জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ হাউড়ে

মিষ্টির দোকানে দই না পেয়ে, দোকানিকে মারধর করে তাণ্ডব চালাল তিন দুষ্কৃতী। শনিবার পাঁশকুড়ার হাউর গ্রামপঞ্চায়েতের হরশঙ্করপুর বাজারের ঘটনা। তার জেরে উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। অবরোধ তুলতে গিয়ে রবার বুলেট ছুড়তে হয় পুলিশকে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলেও অভিযোগ। জানা গিয়েছে এ দিন দুপুর আড়াইটা নাগাদ সুকুমার ঘোষের মিষ্টির দোকানে আসে তিন ব্যক্তি। তারা ৫০০ গ্রাম দইয়ের ভাঁড় কিনতে চান। কিন্তু ওই পরিমাণ দই নেই বলে জানান সুকুমারবাবু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৫ ০১:৫৩
Share:

মিষ্টির দোকানে দই না পেয়ে, দোকানিকে মারধর করে তাণ্ডব চালাল তিন দুষ্কৃতী। শনিবার পাঁশকুড়ার হাউর গ্রামপঞ্চায়েতের হরশঙ্করপুর বাজারের ঘটনা। তার জেরে উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। অবরোধ তুলতে গিয়ে রবার বুলেট ছুড়তে হয় পুলিশকে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলেও অভিযোগ।

Advertisement

জানা গিয়েছে এ দিন দুপুর আড়াইটা নাগাদ সুকুমার ঘোষের মিষ্টির দোকানে আসে তিন ব্যক্তি। তারা ৫০০ গ্রাম দইয়ের ভাঁড় কিনতে চান। কিন্তু ওই পরিমাণ দই নেই বলে জানান সুকুমারবাবু। অভিযোগ এই কথা শুনেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ওই তিনজন। দোকানে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করতে শুরু করে তারা। বাধা দিলে মারধর করা হয় সুকুমারবাবু এবং তাঁর স্ত্রী নূপুরদেবীকে। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। ঘটনায় আহত হন মদনমোহন মাজী, সুদর্শন পাত্র, কার্ত্তিক পাত্র-সহ আরও কয়েকজন। তাঁদের প্রথমে পাঁশকুড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং পরে তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

এদিকে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি তুলে বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা হাউর-কালিদান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ গেলে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাসিন্দারা। র পাঁশকুড়া থেকে র‌্যাফ-সহ আরও পুলিশ বাহিনী ওই এলাকায় পাঠানো হয়।

Advertisement

ততক্ষণে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে পুলিশ লাঠি চার্জ করেছে অভিযোগ তুলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল ছোড়া হয়। ভাঙচুর চলে পুলিশের গাড়িতেও। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস ও রবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ।

গোলমালের ঘটনায় জড়িতদের ধরতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া এ দিন সন্ধ্যায় বলেন, ‘‘হরশঙ্করপুর বাজারে দোকানিকে মারধরের অভিযোগ নিয়ে গোলমাল হয়েছে। স্থানীয় লোকজন পুলিশের উপর আক্রমণের সময় একটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন