কমলাকান্তের শবদেহ কাঁধে করে নিয়ে যান দাঁতন-২-এর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ ইফতেকার আলি। — নিজস্ব চিত্র।
প্রয়াত পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন-২ ব্লকের তুরকা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি কমলাকান্ত পট্টনায়ক। শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ হঠাৎই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। রবিবার দুপুরে তাঁর শেষযাত্রায় শামিল হন এক মাত্র ছেলে সায়ন্তন পট্টনায়ক-সহ আত্মীয় পরিজন ও দলীয় কর্মী সমর্থকেরা।
কমলাকান্তের শবদেহ কাঁধে করে নিয়ে যেতে দেখা যায় দাঁতন-২-এর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ ইফতেকার আলিকেও। যদিও, এই ঘটনাকে ‘স্বাভাবিক’ বলেই দেখতে চান ইফতেকার। তিনি বলেন, “এই সম্প্রীতিই তো বাংলা তথা ভারতের ঐতিহ্য। কমলাকান্তদা আমাদের দলের বর্ষীয়ান সৈনিক। লোকসভা নির্বাচনেও তাঁর অঞ্চলে দল ভাল ফল করেছে। এমন একজন নিষ্ঠাবান কর্মীর প্রয়াণে আমরা শোকাহত!” এ দিন বর্ষীয়ান নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন দাঁতনের বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান-সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, প্রবীণ তৃণমূল নেতা কমলাকান্ত আজীবন ডানপন্থী আন্দোলন করেছেন। ১৯৯৮ সাল থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হন। তাঁর এক ছেলে ও তিন মেয়ে। বছর দেড়েক আগে কুয়েতের একটি বহুতল আবাসনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমলাকান্তের বড় জামাই দ্বারিকেশ পট্টনায়ক(৫২)-এর মৃত্যু হয়। তিন মেয়ের মধ্যে একমাত্র বড় মেয়েরই বিয়ে হয়েছিল। শনিবার কমলাকান্তের মৃত্যুতে গোটা এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।