টিকিট না পেলেই নির্দল, হুমকি ফোনে কাঁটা তৃণমূল

মাস খানেক আগে থেকেই প্রার্থী নিয়ে জোর কোন্দল শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। ‌কেউ সংরক্ষণের গেরোয় নিজের কেন্দ্রে ভোটে লড়ার সুযোগ হারিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৮ ০১:০১
Share:

আগাম: প্রার্থীর নামের জায়গা ফাঁকা রেখেই তৃণমূলের দেওয়াল লিখন। কনকাবতীতে। ছবি: কিংশুক আইচ

বিজেপি নয়। দলেরই বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থীদের নিয়েই উদ্বেগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা হতেই প্রার্থী বাছাই নিয়ে জোর কোন্দল শুরু হয়েছে ঘাটাল মহকুমা জুড়ে। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই না থাকায় প্রকাশ্যেই দলেরই প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার হুমকি দিচ্ছেন কেউ কেউ।

Advertisement

মাস খানেক আগে থেকেই প্রার্থী নিয়ে জোর কোন্দল শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। ‌কেউ সংরক্ষণের গেরোয় নিজের কেন্দ্রে ভোটে লড়ার সুযোগ হারিয়েছেন। কারও বিরুদ্ধে আবার দুর্নীতির নানা অভিযোগ উঠেছে। কেউ বা দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বিপরীত মেরুতে অবস্থান করায় টিকিট পাবেন না। ঘাটাল মহকুমার পাঁচটি ব্লকের ৪৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রেই এই জটিলতা তৈরি হয়েছে। শাসক দল সূত্রের খবর, এই দু’টি স্তরেই ঘাটাল মহকুমায় কমবেশি সত্তর শতাংশ আসনে পুরনো প্রার্থীরা লড়াই করতে পারবেন না।

প্রার্থী নিয়ে কোন্দল ঠেকাতে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু সে কড়া বার্তার পরও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আটকানো যাবে না বলেই মনে করছেন জেলা তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্ব। শাসক দল সূত্রের খবর, শনিবার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পরই প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন দলেরই বিক্ষুদ্ধ গোষ্ঠীর লোকজন। দলের টিকিট পাওয়া অনিশ্চিত বুঝে গিয়ে নির্দল হয়ে লড়াই করার তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গিয়েছে চন্দ্রকোনা-দাসপুর জুড়ে। শনিবার রাত থেকেই দলের কর্মীদের ফোন থেকেই হুমকি ফোন পাচ্ছেন নেতারা। দাসপুর-২ ব্লকের কোর কমিটির এক নেতা বলেন, “পুলিশকে বলতে বাধ্য হলাম। এখন তো প্রার্থী নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে। দলের লোকেরাই হামলা করতে পারে।” চন্দ্রকোনার এক নেতার কথায়, “আমি ফোনই ধরছি না। গালমন্দও শুনতে হচ্ছে।” দলের জেলা অজিত মাইতির হুঁশিয়ারি, “নির্দলরা তৃণমূল নয়। মানুষ তাঁদের ছুড়ে ফেলবে। কেউ এলাকায় তৃণমূল বলবে আর দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে এরকম সুবিধাবাদীদের দল বরদাস্ত করবে না।”

Advertisement

জেলা তৃণমূল জানিয়েছে, ব্লক সভাপতি এবং বিধায়কদের মনোনীত প্রার্থীরাই দলীয় প্রতীক পাবেন। সঙ্গে সুযোগ দেওয়া হবে পুরানো প্রার্থীদেরই। আর এখানেই গন্ডগোলের শুরু। সবকিছু দেখেশুনে দলের কর্মীরাই বলছেন, “পঞ্চায়েতের লড়াই তো হবে তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের। নেত্রীর নির্দেশকেও তো কেউ তোয়াক্কা করছেন না। তরজা ভালই জমছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন