দিঘা স্টেশনে চলছে ছাউনি তৈরির কাজ। —নিজস্ব চিত্র।
পর্যটনের পরিকাঠামোর উন্নতিতে জোর দেওয়া হয়েছে দিঘায়। যার জেরে পূর্ব মেদিনাপুরের এই সৈকত শহরে বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়। চাপ বাড়ছে দিঘা রেল স্টেশনের উপরেও। তাই এবার স্টেশনের পরিকাঠামো বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে সূত্রের খবর, গত ছ’মাসে দিঘা-হাওড়া রেলপথে যাত্রীদের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। এর কারণ হিসাবে তাদের বক্তব্য, কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকা বহু পর্যটক সড়ক পথের ক্লান্তিকর যাত্রা এড়াতে ট্রেনকে বেছে নিচ্ছেন। তাই তাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই কলেবরে বাড়ছে দিঘা স্টেশন। ইতিমধ্যেই স্টেশনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অতিথিশালা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
রেল দফতর সূত্রের খবর, দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার পূর্ণেন্দুশেখর মিশ্রর আগামী ২৯ জানুয়ারি দিঘা রেল স্টেশন পরিদর্শনে আসার কথা। সব কিছু ঠিক থাকলে জেনারেল ম্যানেজার ওই দিন অতিথিশালাটি উদ্বোধন করতে পারেন। স্টেশনে যাত্রীদের বসার জন্য অতিরিক্ত জায়গা তৈরি করা হচ্ছে। আরও চওড়া করা হচ্ছে প্ল্যাটফর্ম। রোদবৃষ্টি থেকে যাত্রীদের বাঁচাতে বানানো হচ্ছে নতুন ছাউনি। এছাড়াও, তৈরি হচ্ছে অতিরিক্ত শৌচাগার, মহিলাদের চেঞ্জিং রুম।
স্টেশনের পাশেই একটি উদ্যান বানানো হচ্ছে। তবে শুধু দিঘা নয়, রামনগর এবং ঠিকরা রেল স্টেশনের সৌন্দর্যায়নের উপরেও জোর দিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক কুলদীপ তিওয়ারি বলেন, ‘‘দিঘা স্টেশনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। পর্যটকের সংখ্যা বাড়ার জন্য এই কাজ করছে রেল দফতর।’’
বেহালার চুমকি চৌধুরী সপরিবারে দিঘায় বেড়াতে এসেছেন। তাঁর কথায়, “খবর কাগজে প্রায়ই সড়ক পথে দুর্ঘটনা খবর দেখি। তাই রেলপথে দিঘা এসেছি। এখানের স্টেশনে দেখলাম পরিকাঠামো আরও উন্নত করা হচ্ছে। একজন রেল যাত্রী হিসাবে বেশ ভাল লাগছে।’’