বিদায়: হাতির মরদেহে রাখা হয়েছে মালা। নিজস্ব চিত্র
দু’টি হাতির মৃত্যু হয়েছে মেদিনীপুর গ্রামীণের নেপুরায়। আর তার জেরে গড়বেতার আমলাগোড়ার জঙ্গল থেকে তড়িঘড়ি হাতির পালকে বাঁকুড়া জেলার সীমানায় পাঠাল বন দফতর। হাতি তাড়াতে গিয়ে আবার কোনও রকমে প্রাণে বাঁচলেন হুলাপার্টির দুই সদস্য। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁরা মেদিনীপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। হাতির সামনে পড়ে ছুটে পালাতে গিয়ে পড়ে জখম হয়েছেন এক প্রৌঢ়ও।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪৫-৫০ টি হাতির একটি পাল আমলাগোড়া রেঞ্জের জামডোবার জঙ্গলে ছিল শুক্রবার রাতে। মেদিনীপুর গ্রামীণে দু’টি হাতি মারা যাওয়ার ফলে বন দফতর আমলাগোড়ার এই হাতিগুলিকে জেলা পার করে পাশের জেলা বাঁকুড়ার জঙ্গলে সরিয়ে দিতে উদ্যোগী হয়। শনিবার ভোররাত থেকে শুরু হয় অভিযান। হাতির বড় পালটিকে জামডোবার জঙ্গল থেকে গনগনিতে শিলাবতী নদী পার করিয়ে কুইলিবাঁধ হয়ে বাঁকুড়া জেলা সীমানার কলাবাগান জঙ্গলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। বন দফতরের কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের তাড়া খেয়ে অধিকাংশ দাঁতালই বাঁকুড়া জেলার জঙ্গলে ঢুকে পড়েছে বলে বন দফতরসূত্রে জানা গিয়েছে।
যাওয়ার পথে হাতির পালটি প্রচুর আলু, কপি-সহ আনাজ খেতের ক্ষতি করেছে, দু’টি মাটির ঘরও ভেঙেছে। খরখরি, বান্দুয়া, শালডাংরা, বাগডোবা প্রভৃতি মৌজায় প্রচুর আলু, কপি খেত তছনছ করে হাতিগুলি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা গড়বেতায় বনদফতরের অফিসে গিয়ে সবকিছু জানান। হাতির সামনে পড়ে পালাতে গিয়ে জখম হয়েছেন গড়বেতার ব্লক অফিস কলোনির বাসিন্দা প্রৌঢ় নকুলচন্দ্র মাইতি। এদিকে হাতি তাড়াতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন হুলাপার্টির ২ সদস্য সঞ্জয় মোল্লা ও রঞ্জন সরেন। ধানঘোরির জঙ্গল এলাকায় দাঁতালদের একেবারে সামনে পড়ে যান তাঁরা। কয়েকটি দাঁতাল তেড়ে এলে প্রাণভয়ে কোনওরকমে ছুটে পালাতে গেলে পড়ে জখম হন তাঁরা। বনকর্মীরা তাঁদের উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।