চিকিৎসায় গাফিলতির নালিশ, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীকে চিঠি

চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই মহিলা ও তাঁর পরিবার। তাঁর কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন তাঁরা।   

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কাঁথি শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৯ ০১:২৫
Share:

চিকিৎসার জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দম্পতির কথাই শোনেনি।

প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন সরকারি হাসপাতালে। সেখানে সন্তান প্রসবের পর জন্মনিরোধক ‘কপার টি’ পরানো হয় ওই মহিলাকে। অভিযোগ, মাসতিনেক বাদে ওই অবস্থায় তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করেন ওই মহিলা। এর পরেই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই মহিলা ও তাঁর পরিবার। তাঁর কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন তাঁরা।

কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের চালতি গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম পুরুষোত্তমপুরের বাসিন্দা আনজুমা বিবিকে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে বাচ্চা হওয়ার জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বাচ্চা হওয়ার পর তাঁকে ‘কপার টি’ পরানো হয়। পেশায় হকার আঞ্জুমানের স্বামী শেখ ফৈজুর দাবি, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে চলে আসেন স্ত্রী। কিন্তু নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ফের অসহ্য যন্ত্রণা হওয়ায় স্ত্রীকে নিয়ে তিনি হাসপাতালে যান। তাঁর অভিযোগ, হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসকেরা কোনও গুরুত্বই দিতেন না। ফলে দিন দিন আনজুমার যন্ত্রণা বাড়ছিল। এক সময় আনজুমাকে অন্যত্র চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয় বলে ফৈজুর দাবি। ফৈজু জানান, স্ত্রীর আলট্রাসোনোগ্রাফি করা হলে তাঁর শরীরে ‘কপার টি’ খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে রিপোর্টে ধরা পড়ে। এরপর স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ফের কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি বলে অভিযোগ ফৈজুর।

আনজুমা বলেন, ‘‘চিকিৎসা করানোর মতো আর্থিক ক্ষমতা নেই। এই অবস্থায় অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে কোনও রকমে বেঁচে আছি। হাসপাতালও কোনও চিকিৎসা করেনি। তাই স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর কাছে প্রতিকার চেয়ে চিঠি দিয়েছি।’’ আনজুমার অভিযোগ নিয়ে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘ওই মহিলার শরীর থেকে একাধিক কারণে ‘কপার টি’ খুলে যেতেই পারে। তবে ওই মহিলার ফের চিকিৎসার প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে আমরা সব রকম সহযোগিতা করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন