রাজ্য ক্লাব লিগ

ঘরের মাঠে জয়ী সুভাষ কর্নার

টানটান উত্তেজনার ম্যাচে জিতল মেদিনীপুরের ক্ষুদিরামনগর সুভাষ কর্ণার। রবিবার রাজ্য ক্লাব লিগের ‘ডি’ গ্রুপের প্রথম খেলায় পুরুলিয়ার মাঙ্গুড়িয়া অ্যাথলেটিক ক্লাবকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০০:৪১
Share:

শালবনির মাঠে। নিজস্ব চিত্র।

টানটান উত্তেজনার ম্যাচে জিতল মেদিনীপুরের ক্ষুদিরামনগর সুভাষ কর্ণার। রবিবার রাজ্য ক্লাব লিগের ‘ডি’ গ্রুপের প্রথম খেলায় পুরুলিয়ার মাঙ্গুড়িয়া অ্যাথলেটিক ক্লাবকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে তারা।

Advertisement

এ দিন থেকেই শুরু হয়েছে রাজ্য ক্লাব লিগ ফুটবল। জেলার সেরারা নেমেছে রাজ্য সেরা হওয়ার লড়াইয়ে। জেলার দলগুলোকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি দল গ্রুপের বাকি দলগুলোর বিরুদ্ধে একটি হোম ম্যাচ এবং একটি অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে। তারপর চারটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ পাবে।

এ দিন শালবনির নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু স্টেডিয়ামে ‘ডি’ গ্রুপের প্রথম খেলায় মুখোমুখি হয় ওই দুই ক্লাব। দুপুরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেপাল সিংহ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক বিনয় দাস মাল প্রমুখ। এ দিন প্রথম থেকে খেলার রাশ নিজের হাতে রেখেছিল সুভাষ কর্নার। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য মাঙ্গুড়িয়াও তেড়েফুঁড়ে নামে। দু’দলের কাছেই এ দিন বেশ কিছু গোলের সুযোগ তৈরি হয়েছিল। বেশি সুযোগ তৈরি হয়েছিল মেদিনীপুরের ক্লাবটির কাছে। তবে একাধিক সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি তারা। ফলে জয় এসেছে মাত্র এক গোলের ব্যবধানে।

Advertisement

এ দিন খেলা দেখতে মাঠে আসেন শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা, শালবনির বিডিও পুষ্পল সরকার, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি আশিস চক্রবর্তী প্রমুখ। মেদিনীপুর (সদর) মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক সন্দীপ সিংহ বলছেন, ‘‘প্রথমার্ধটা তেমন জমেনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধটা বেশ জমে গিয়েছিল। ম্যাচে আরও গোল হলে ভাল লাগত।’’ তাঁর কথায়, ‘‘কয়েকজনকে দেখে মনে হল বেশ সম্ভাবনাময়। আশা করি, পরের খেলাগুলো জমবে।”

প্রথমার্ধে ন’মিনিটের মাথায় গোল করে সুভাষ কর্নারকে এগিয়ে দেন সৌকত চাইনি। ১৬ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় গোলটি করেন দীনেশ রাণা। প্রথমার্ধ শেষ হয় ২-০ তেই। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য নিজেদের গুছিয়ে নেয় মাঙ্গুড়িয়া। ফুটবলাররা ছোট ছোট পাসে খেলতে শুরু করেন। ৬৮ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান কমান পুরুলিয়ার বিভাস মাহাতো। পরেও একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করে দেন মাঙ্গুড়িয়া অ্যাথলেটিকের মিডফিল্ডাররা। অবশ্য ফরোয়ার্ড তা কাজে লাগাতে পারেনি। জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক বিদ্যুত্‌ বসু বলেন, ‘‘দু’দলই কয়েকটি সুযোগ পেয়েও নেটটা ওপেন করতে পারেনি। ফিনিসটা ঠিক হচ্ছিল না।’’

‘ডি’ গ্রুপে পাঁচটি দল রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের সুভাষ কর্ণার, পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল ময়দান ক্লাব, বাঁকুড়ার ভাদুল গৌরাঙ্গ ক্লাব, পুরুলিয়ার মাঙ্গুড়িয়া অ্যাথলেটিক ক্লাব এবং হুগলির মিলন সঙ্ঘ। কাল, মঙ্গলবার শালবনি স্টেডিয়ামেই ভাদুল গৌরাঙ্গ ক্লাবের মুখোমুখি হবে সুভাষ কর্নার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন