জঙ্গলমহলে সংগঠনকে ঢেলে সাজতে শহর ও ব্লক স্তরের নেতৃত্বে নতুন মুখ নিয়ে এল বিজেপি। ঝাড়গ্রাম মহকুমার চারটি ব্লকে সভাপতি ও ঝাড়গ্রাম শহর সভাপতির পদে রদ বদল হল।
বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষ জানান, বৃহস্পতিবার অরণ্যশহরের এক অতিথিশালায় বিজেপির রাজ্য নেতা তথা দলের তরফে ঝাড়গ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত শ্যামাপ্রসাদ মণ্ডলের উপস্থিতিতে ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির এক সাংগঠনিক বৈঠকে এই রদবদল করা হয়েছে। এই রদবদলের ফলে, নয়াগ্রামে নতুন ব্লক সভাপতি হয়েছেন অর্ধেন্দু পাত্র। অর্ধেন্দুবাবুর ভাই সুখেন্দু পাত্রকে জেলা কমিটির সদস্য করা হয়েছে। অর্ধেন্দুবাবু আগে তৃণমূলের নয়াগ্রাম ব্লকের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সুখেন্দুবাবু ছিলেন তৃণমূলের নয়াগ্রাম ব্লক কমিটির সদস্য। তৃণমূলের গোষ্ঠী রাজনীতির ফলে দুই ভাই দলে কোণঠাসা ছিলেন। কেন্দ্রে বিজেপির সরকার ক্ষমতায় আসার পরে পাত্র ভাইয়েরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপি সূত্রের খবর, নয়াগ্রামে তৃণমূলকে চাপে রাখতে পাত্র ভাইদের ব্লক ও জেলাস্তরে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হল। এছাড়াও গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকে নগেন সিংহ, সাঁকরাইল ব্লকে বনবিহারী মাহাতো ও বেলপাহাড়ি ব্লকে গোপাল সাউকে ব্লক সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নগেন সিংহ গোপীবল্লভপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। মাস তিনেক আগে তিনি ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। বেলপাহাড়ির নতুন ব্লক সভাপতি গোপাল সাউ রাজনীতিতে নতুন মুখ। ঝাড়গ্রাম শহর সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন অরণ্যশহরের বিশিষ্ট শিল্পী সুখময় শতপথী। সুখময়বাবু অবশ্য দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সক্রিয় সদস্য।
এ দিন বৈঠকে বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটিরও পুনর্গঠন করা হয়েছে। আগে ছিল ৮ জনের কমিটি। এখন পুনর্গঠিত জেলা কমিটির সদস্য সংখ্যা ১৯ জন।
বৈঠক সবংয়ে। একশো দিনের কাজ থেকে ইন্দিরা আবাস যোজনা, উন্নয়নমূলক বিভিন্ন প্রকল্পে পিছিয়ে পড়ছে ব্লক। এ নিয়ে জেলাশাসক থেকে শুরু করে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ত্সনার মুখে পড়তে হয়েছে ব্লক প্রশাসনকে। তাই উন্নয়নের কাজে গতি আনতে বৈঠক হল সবংয়ে। বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত সমিতির সভাগৃহে ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমল পণ্ডা। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক মানস ভুঁইয়া, বিডিও বিকাশ মজুমদার, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সবংয়ের তৃণমূল নেতা অমূল্য মাইতি-সহ আরও দুই জেলা পরিষদ সদস্য ও সব গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানেরা।