নদী তীরে উদ্ধার অচৈতন্য ছাত্রী, মারধরের নালিশে ধন্দ

নদীর ধার থেকে অচৈতন্য অবস্থায় এক স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার সাঁকরাইল থানা এলাকার ডুলুং নদীর পাশে রসিকানন্দ মঠের কাছ থেকে সঞ্চিতা পয়ড়্যা নামে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রীর অভিযোগ, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মুখে কালো কাপড় বাঁধা তিন তরুণী তাকে মারধর করেছিল। মেয়েটির মামা অনুপ গিরি পুলিশে এই মর্মে অভিযোগও দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম ও খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৪ ০১:৩২
Share:

নদীর ধার থেকে অচৈতন্য অবস্থায় এক স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার সাঁকরাইল থানা এলাকার ডুলুং নদীর পাশে রসিকানন্দ মঠের কাছ থেকে সঞ্চিতা পয়ড়্যা নামে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রীর অভিযোগ, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মুখে কালো কাপড় বাঁধা তিন তরুণী তাকে মারধর করেছিল। মেয়েটির মামা অনুপ গিরি পুলিশে এই মর্মে অভিযোগও দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আদতে গোপীবল্লভপুরের শাঁশড়ার বাসিন্দা সঞ্চিতা রোহিণীতে মামাবাড়িতে থেকেই পড়াশুনো করে। শনিবার সাড়ে ১২টা নাগাদ কন্যাশ্রীর জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে স্কুলে টাকা জমা দিতে গিয়েছিল সঞ্চিতা। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফেরায় শুরু হয় খোঁজ। ওই দিন বিকেলেই হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় ওই ছাত্রীকে ডুলুং নদী সংলগ্ন মঠের একটি পাম্প হাউজের কাছে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার কথা জানতে পেরে হাসপাতালে আসেন মেয়েটির পরিজনরাও। ওই ছাত্রীর বয়ানে জানা গিয়েছে, ওই দিন বাড়ি ফেরার পথে মুখে কালো ওড়না বাঁধা এক তরুণী তাকে ডেকে নিয়ে যায়। রসিকানন্দ মঠের কাছে দাঁড়িয়েছিল মুখে কালো কাপড় বাঁধা আরও দুই তরুণী। তারা সঞ্চিতাকে হঠাৎই মারতে শুরু করে। তবে ওই তরুণীদের চিনতে পারেনি বলে দাবি সঞ্চিতার। খড়্গপুরে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে সঞ্চিতা বলে, “মেয়েগুলো আমার থেকে বয়সে বড়। ওরা মারধরের সময়ে বলছিল, ‘তুই নিজে ভাল হয়ে অন্যদের খারাপ করবি’। দিন পনেরো আগে স্কুলের একটা অনুষ্ঠানে আমি ভাল নাচায় শিক্ষিকারা প্রশংসা করেছিলেন। আমার মনে হয় সেই রাগেই ওরা মারল।”স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শুক্লা ধর বলেন, “শনিবার ওই ছাত্রী স্কুলে এসেছিল কি না এখনই বলতে পারব না। তবে আমি ঘটনার কথা শুনেছি।” ওই ছাত্রীর মা শিখা পয়ড়্যাও বলেন, “শুনেছি মেয়ের থেকে বয়সে বড় তিন তরুণী ওকে মারধর করেছে। কিন্তু কেন এমন হল মেয়েও বলতে পারছে না।” হঠাৎ করে বয়সে বড় তিন তরুণী কেন ওই ছাত্রীকে মারধর করবে, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিশও। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সাঁকরাইল থানার পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন