ফের সংঘর্ষ মোহনপুরে

মোহনপুরে বিজেপি-তৃণমূল অশান্তিতে দাঁড়ি পড়ল না। বৃহস্পতিবার রাতে মোহনপুর থানার বৈতা বাজারে এই গোলমালে দু’পক্ষেরই সমর্থকরা জখম হন। এগরা মহকুমা হাসপাতালে দু’জনকে ভর্তি করানো হয়। বুধবার মেদিনীপুরে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের সভায় মোহনপুরের থেকে বহু কর্মী-সমর্থক গিয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৩৪
Share:

মোহনপুরে বিজেপি-তৃণমূল অশান্তিতে দাঁড়ি পড়ল না। বৃহস্পতিবার রাতে মোহনপুর থানার বৈতা বাজারে এই গোলমালে দু’পক্ষেরই সমর্থকরা জখম হন। এগরা মহকুমা হাসপাতালে দু’জনকে ভর্তি করানো হয়।

Advertisement

বুধবার মেদিনীপুরে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের সভায় মোহনপুরের থেকে বহু কর্মী-সমর্থক গিয়েছিলেন। রাতে ফেরার সময় বিজেপি সমর্থকদের উপর তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বুধবার রাতের পরে আর এলাকায় পুলিশি টহল দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোহনপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি-র জেলা নেতৃত্ব। পাল্টা অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূলও। বৃহস্পতিবার রাতেই বৈতা বাজারে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি-তৃণমূল কর্মীরা। ভাঙচুর হয় বিজেপির কার্যালয়ে। গরুরা গ্রামের তৃণমূল বুথ সভাপতি নারায়ণ মাজির বৈতা বাজারে দোকান আছে। সেখানে নারায়ণবাবু ও তাঁর ভাইকে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। ঝাটিয়ায় বিজেপি-র সংখ্যালঘু মোর্চা নেতা শেখ পঞ্জাবের বাড়িতে ও কাশিয়াবাঁধে বিজেপি কর্মী নিমাই বাগের দোকানে হামলার অভিযোগ ওঠে। জানুয়াবাঁধে বিজেপি কর্মী মনোরঞ্জন মাজিকে, সোলপাট্টায় তৃণমূল সমর্থক শরবিন্দু সাহুকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। তাঁদের এগরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পরে এলাকায় পৌঁছন এসডিপিও সন্তোষ মণ্ডল। এ দিন সকালেও মোহনপুরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশি টহল চলে। তবে কেউই গ্রেফতার হয়নি। মোহনপুরে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি শক্তি নায়েক বলেন, “পুলিশ প্রথমে ব্যবস্থা নিলে এই পরিস্থিতি হত না।” ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রদীপ পাত্রের অভিযোগ, “সিপিএমের দুষ্ট লোকেরা বিজেপিতে এসে মোহনপুর অশান্ত করছে।” বিজেপি-র জেলা সভাপতি তুষার মুখপাধ্যায়ের কথায়, “এসডিপিও গিয়ে পরিস্থিতি সামলানোয় এখন এলাকা শান্ত।” বিজেপি-র মতে মেদিনীপুরে দলের সভা ‘সফল’ হওয়ায় তৃণমূল মেদিনীপুর সদরের পাচরা, পাথরা, মোহনপুরের বেগুনিয়া, শিয়ালসাই, পিংলার দুজিপুর, শালবনির গোবরু এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। শুক্রবার মেদিনীপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেন। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাবলু বরম, যুব মোর্চার জেলা সভাপতি শুভজিত্‌ রায়, দলের শহর সভাপতি অরূপ দাস। শুভজিত্‌বাবু বলেন, “গত দু’দিনে আমাদের পঞ্চাশের বেশি কর্মীকে তৃণমূলের লোকজন মারধর করেছে।” কাল, রবিবার যুব মোর্চার প্রতিনিধি দল এলাকায় যাবে বলেও তিনি জানান।

Advertisement

তৃণমূল অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন। দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “জেলার কোথাও তেমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন