এক বিজেপি নেতার বাড়িতে ঢুকে হামলা, মারধর ও ঘরে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত আঞ্জুলা মল্লিক নামে এক মহিলাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। চন্দ্রকোনা রোডের নবকলা গ্রামের বৃহস্পতিবার সকালের ঘটনা। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। হয়েছে পুলিশি টহলও।
বিজেপি সূত্রের খবর, সম্প্রতি চন্দ্রকোনা রোডে একটি স্কুলের পরিচালন কমিটির নির্বাচন ছিল। সেখানে বিজেপি সবক’টি আসনেই তৃণমূলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও শেষমেষ হেরে যায়। বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক ধীমান কোলের অভিযোগ, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং প্রকাশ্যে প্রচারের জন্য দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মারধর করছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। মারধর, হুমকি থেকে চলছে জরিমানার ফতোয়াও। তিনি বলেন, “থানায় অভিযোগ হয়েছে।”
পুলিশ ও বিজেপি সূত্রের খবর, বুধবার রাতে এক বিজেপি কর্মীর দোকান ভেঙে দেয় তৃণমূলের লোকজন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ফের তৃণমূলের তরফে নবকলা গ্রামে হামলা চালানো হয়। অভিযোগ, তখন শোভান মল্লিক নামে দলের স্থানীয় নেতৃত্বের বাড়িতে ঢুকে আগুন লাগিয়ে তাঁর স্ত্রী আঞ্জুলা মল্লিককে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূলের লোকেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয়দের চেষ্টায় প্রায় আধ ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
যদিও অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের ব্লক-সভাপতি নিমাই বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে দলের কেউ জড়িত নয়।” পুলিশ তদন্ত শুরু করে অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে।
সিলিন্ডার আটক, ধৃত ২। গ্যাসভর্তি ২৪টি সিলিন্ডার এবং একটি পিক আপ ভ্যান আটক করল চন্দ্রকোনার পুলিশ। গ্যাস পাচারের অভিযোগে শেখ বেসরত আলি এবং হবিবুর রহমানকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। দু’জনেরই বাড়ি কেশপুর থানার মহিষগেড়িয়া এবং ফিরাজপুর গ্রামে। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতেরা জেরায় স্বীকার করেছে ঘাটালের রাধানগরের এক ব্যাক্তির থেকে ওই সিলিন্ডার গুলি চড়া দামে কিনে তাঁরা কেশপুরে যাচ্ছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল, ওই সিলিন্ডারগুলি চড়া দামে গাড়ির মালিকদের বিক্রি করা। পুলিশ জেনেছে, কয়েক বছর ধরেই তারা এই কারবারে যুক্ত।