নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবার দাবিতে মহিষাদলের গোপালপুরে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। ঘেরাও করা হল বিদ্যুতের স্থানীয় সাব স্টেশন। গোটা কর্মসূচির পুরোভাগে রইলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ তথা জেলা তৃণমূল নেতা বুদ্ধদেব ভৌমিক। মঙ্গলবার সকালে গোপালপুরে প্রায় এক ঘণ্টার ওই অবরোধে তীব্র যানজট হয়।
পরে অবশ্য পুলিশের হস্তক্ষেপে এবং বিদ্যুৎ দফতরের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।
শাসকদলের নেতা এবং জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ হয়েও এই বিক্ষোভে কেন? বুদ্ধদেববাবুর জবাব, “মানুষের ক্ষোভ সঙ্গত। এই সমস্যায় আমরা সকলেই ভুক্তভোগী। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব না দিলে এই ক্ষোভ থেকে বড় কোনও ঘটনা ঘটতে পারত।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মহিষাদলের বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং-এর সমস্যা বারোমাসের। এই গরমেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ব্লকের বেশ কিছু এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে টানা লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজের সমস্যা চলছে। এর জেরে প্রচণ্ড সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা। ব্যহত হচ্ছিল ফুটবল বিশ্বকাপ খেলা দেখাও। অভিযোগ, সমস্যা সমাধানের জন্য বিদ্যুৎ দফতরে বারবার আবেদন করলেও সুরাহা হয়নি। এ দিন সকালে বুদ্ধদেববাবুর বাড়িতে এসে ক্ষোভ জানান কাঞ্চনপুর, কিসমত নাইকুণ্ডি-সহ আশপাশের মানুষজন। ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের নিয়ে তখনই স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলি দাসের বাড়িতে যান বুদ্ধদেববাবু। এরপর শ’চারেক লোক নিয়ে সাব-স্টেশনে আসেন তিনি।
বহু মানুষকে বিক্ষোভ দেখাতে দেখে আর কার্যালয়ের দরজা খোলেননি বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। তাতে ক্ষোভ আরও বাড়ে। প্রতিবাদে তাঁরা পথ অবরোধ শুরু করেন। পরিস্থিতি দেখে পুলিশের সাহায্য চান বিদ্যুৎকর্মীরা। পরে দফতরের অফিসে বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে আলোচনায় বসেন বুদ্ধদেববাবু। সেখানেই তাঁকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন বিদ্যুৎ দফতরের এক কর্তা। সকাল ন’টা নাগাদ অবরোধ ওঠে। বিদ্যুৎ দফতরের মহিষাদলের স্টেশন ম্যানেজার অশোককুমার মান্না বলেন, “গত কয়েক দিন ধরে বিকেলের দিকে ঝড়বৃষ্টি-সহ আরও কিছু সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। তবে দ্রুত সেগুলি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।”