অভিযোগ এসেছিল গৃহস্থবাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে মুড়ি ভাজার মেশিন চলছে। সরেজমিনে তা দেখতে গিয়ে বাড়ির কর্তা তথা ব্যবসায়ীর হাতে মার খেয়ে গুরুতর আহত হলেন বিদ্যুৎ দফতরের এক আধিকারিক।
মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থানার চৌখালি এলাকার পুরুষোত্তমপুর গ্রামে। মারধরে আহত বিদ্যুৎ বণ্টন বিভাগের চণ্ডীপুর গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের সিনিয়র সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার রবীন্দ্রনাথ জানাকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই আধিকারিককে মারধরে অভিযুক্ত গৌরাঙ্গ মাইতির বিরুদ্ধে চণ্ডীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে পুলিশ এখনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি। জেলার পুলিশ সুপার সুকেশকুমার জৈন বলেন, “মারধরের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিদ্যুৎ দফতর ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চণ্ডীপুরের চৌখালি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পুরুষোত্তমপুরের বাসিন্দা গৌরাঙ্গ মাইতি নিজের বাড়ি সংলগ্ন একটি ঘরে মুড়ি ভাজার মেশিন চালান। বিদ্যুৎ দফতরের নিয়মানুযায়ী, ওই মেশিন চালানোর জন্য বাণ্যিজিক বিদ্যুতের সংযোগ প্রয়োজন। কিন্তু ওই ব্যবসায়ী বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ থেকেই ব্যবসা চালাচ্ছিলেন। এ নিয়ে অভিযোগ পেয়ে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরের চণ্ডীপুর গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের সিনিয়র সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার রবীন্দ্রনাথ জানা কয়েক জন সহকর্মীর সঙ্গে মঙ্গলবার পুরুষোত্তমপুর গ্রামে যান। অভিযোগ, গৌরাঙ্গ মাইতি তখন খেপে গিয়ে কাঠের টুকরো নিয়ে রবীন্দ্রনাথবাবুকে মারধর করেন। বুকে আঘাত রয়েছে রবীন্দ্রনাথবাবুর। সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে চণ্ডীপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করান। পরে তাঁকে কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আধিকারিককে মারধরের ঘটনায় বুধবার চণ্ডীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিদ্যুৎ দফতরের এক পদস্থ আধিকারিক।