বিভীষণদের নকশা ধরা পড়েছে: শুভেন্দু

ভারতী সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মুকুলও ইতিমধ্যেই বলেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেককেই ব্যবহার করে ছুড়ে ফেলেন!’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:১৯
Share:

বিজয়ী: সবংয়ের বিধায়ক গীতারানি ভুঁইয়া। সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী ও মানস ভুঁইয়া। রবিবার। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।

প্রথমে বদলি, তার পরে একেবারে পুলিশের চাকরিতে ইস্তফা— ভারতী ঘোষকে নিয়ে এখনও আলোড়ন চলছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। ঠিক কী কারণে তৃণমূল সরকারের অতি-আস্থাভাজন প্রাক্তন এই জেলা পুলিশ সুপার কোপে পড়লেন, তা নিয়ে জল্পনাও চলছে। সেই জল্পনা আরও উস্কে এ বার নাম না করে ভারতীকে প্রকারান্তরে বিশ্বাসঘাতক বললেন রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisement

সবং উপনির্বাচনে বিপুল জয় উপলক্ষে তৃণমূলের বিজয় সমাবেশ ছিল রবিবার। বুথকর্মীদের ধন্যবাদ জানানো পরে শুভেন্দু সেখানে ভারতীর নাম না করেই বলেন, ‘‘আমরা জানতাম না। আমাদের নেত্রী অনেক পরে জেনেছেন। একটা বড় নকশা হয়েছিল। আমাদের নেত্রী নির্বাচনের চার দিন আগে এই বিভীষণদের ধরে ফেলেছিলেন। কিছু সরকারি ও বেসরকারি লোক মিলে পরিকল্পনা করেছিল।’’ মুকুল রায়ের নাম না করে শুভেন্দুর আরও সংযোজন, ‘‘আমি তো শুনে অবাক। ভোটের ১৫ দিন আগে ভাল-ভাল কথা বলে সমস্ত বুথ-অঞ্চল সভাপতিদের নম্বর নেওয়া হল। আর প্রচারের শেষে আমাদের এক বিতাড়িত নেতা এখানকার বুথ ও অঞ্চল সভাপতিদের ফোন করে বললেন, ‘মানস ভুঁইয়া খুনি। ওঁর হাতে রক্ত লেগে আছে। তোমরা পুরনো তৃণমূল। এখনকার তৃণমূলকে ভোট দেবে না।’ ভোটের পরে আমাদের নেত্রী সব জেনে ওদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করেছেন!’’

পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অবশ্য ভারতী প্রসঙ্গে আর কিছু বলতে চাননি শুভেন্দু। কিন্তু তৃণমূলের ঘরে অধুনা বিজেপি নেতা মুকুলের সিঁধ কাটার চেষ্টা এবং সেখানে প্রাক্তন পুলিশ সুপারের ভূমিকা, এই পরিস্থিতির জেরেই যে ভারতী নবান্নের কোপে পড়েছেন, সভায় পরিবহণমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে তা স্পষ্ট বলে অনেকে মনে করছেন। ভারতী সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মুকুলও ইতিমধ্যেই বলেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেককেই ব্যবহার করে ছুড়ে ফেলেন!’’

Advertisement

আরও পড়ুন, মাঝরাতে শনি পুজো দিলেন ভারতী

সবংয়ে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত কয়েকটি অ়ঞ্চলের বেশ কিছু বুথে উপনির্বাচনে ভাল রকম ভোট বেড়েছে বিজেপি-র। তার প্রেক্ষিতে স্থানীয় ব্লক নেতৃত্বের রিপোর্ট তলব করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। শুভেন্দুও এ দিন বলেছেন, ‘‘সবংয়ে বিজেপি আরও নীচে নেমে যেতো। কিন্তু সিপিএমের লোকেরা আর আমাদের কিছু লোক এই কাণ্ডটি করেছে। মূল্যায়ন শুরু হয়ে গিয়েছে।’’ এই বক্তব্যেও ইঙ্গিত, ‘বিশ্বাসঘাতকতা’র মোকাবিলা কড়া হাতেই করতে চাইছে তৃণমূল।

এরই মধ্যে জল্পনা বেড়েছে ভারতীর বিজেপি-তে যোগদানের ‘ইচ্ছা’ নিয়ে! রাজ্য বিজেপি-র তরফে এ দিনই অবশ্য বিবৃতি দিয়ে ওই জল্পনা খারিজ করা হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বের যুক্তি, এখনও ভারতী সরকারি চাকরিতে বহাল আছেন। আর পদে থাকাকালীন অন্যান্য বিরোধীর মতো বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও যিনি খুনের মামলায় জড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন, তাঁকে দলে নেওয়ার কথা আসবেই বা কেন!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement