সংখ্যালঘু-মন ধরে রাখতে তাঁদের উন্নয়নে সরকার কত কাজ করেছে, তার ফিরিস্তি দিয়েই থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই দাবি ‘ডাহা মিথ্যে’ বলে উড়িয়ে দিল ‘মুসলিমদের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক একটি আলোচনাসভা!
মুসলিমদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা নিয়ে ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত প্রতীচী ট্রাস্টের রিপোর্টের ভিত্তিতে ইন্ডিপেন্ডেন্ট জার্নালিস্ট সোসাইটি রবিবার রোটারি সদনে ওই সভা আয়োজিত হয়। ক্ষমতায় আসার বছর দেড়েকের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, মুসলিমদের জন্য ১০০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘বাম আমলেও বঞ্চনা ছিল। এখন অবস্থা আরও খারাপ। এত মিথ্যে অন্য কোনও মুখ্যমন্ত্রী বলেননি।’’ প্রাক্তন পুলিশ কর্তা ও সাহিত্যিক নজরুল ইসলাম এ দিন অভিযোগ করেন, মুসলিমদের উন্নয়ন নিয়ে মমতার সব দাবি ‘ডাহা মিথ্যে’। সাহিত্যিক আবুল বাশার বলেন, ‘‘পিছিয়ে পড়া মুসলিমদের প্রগতির জন্য সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের শিক্ষিত, দরদী এবং বিচক্ষণ ব্যক্তিদের নেতৃত্ব দিতে হবে।’’ ইমাম ভাতায় মুসলিম সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষের কোনও উপকার হয় না বলে মত দেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের শিক্ষক সৈয়দা তনভির নাসরিন। প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ মইনুল হাসান বলেন, মুসলিমদের জন্য মাদ্রাসা নয়, মডেল স্কুল এবং আইআইটি, এনআইটি-র মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার দাবি তোলা উচিত।