মোর্চার তিন নেতার অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত

তদন্তকারী সংস্থা জানাচ্ছে, অভিযুক্তদের আরও অনেক সম্পত্তির খোঁজও মিলেছে। কলকাতা, শিলিগুড়ি, দিল্লি এমনকী দেশের বাইরেও মোর্চা নেতারা সম্পত্তি কিনেছেন। টাকাও পাঠিয়েছেন বিভিন্ন স্থানে। ধীরে ধীরে সেই সব সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৭ ০৪:৩০
Share:

তিন মোর্চা নেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সবরকম লেনদেন বন্ধ করল সিআইডি। বুধবার রাতে দার্জিলিংয়ে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের তিনটি অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ করা হয়েছে বলে সিআইডি সূত্রে জানানো হয়েছে। ওই তিনটি অ্যাকাউন্টের মালিক ছিলেন মোর্চার প্রধান বিমল গুরুঙ্গ, রোশন গিরি এবং বিনয় তামাঙ্গ।

Advertisement

সিআইডি সূত্রের খবর, গত ১৭ জুন সিংমারিতে পুলিশের সঙ্গে মোর্চা সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছিল। বিমল গুরুঙ্গের বাড়িতে তল্লাশিও চালিয়েছিল পুলিশ। পাওয়া গিয়েছিল টাকা ভর্তি থলিও। তার পরেই তদন্ত শুরু করে সিআইডি। সিআইডির দাবি, বিমল গুরুঙ্গের অ্যাকাউন্টে ১০ লাখ ৫৮ হাজার, রোশন গিরির অ্যাকাউন্টে ৯ লাখ ৪৭ বাজার এবং বিনয় তামাঙ্গের অ্যাকাউন্টে ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছে।

তদন্তকারী সংস্থা জানাচ্ছে, অভিযুক্তদের আরও অনেক সম্পত্তির খোঁজও মিলেছে। কলকাতা, শিলিগুড়ি, দিল্লি এমনকী দেশের বাইরেও মোর্চা নেতারা সম্পত্তি কিনেছেন। টাকাও পাঠিয়েছেন বিভিন্ন স্থানে। ধীরে ধীরে সেই সব সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হবে।

Advertisement

কিন্তু সংঘর্ষের মামলায় কেন মোর্চা নেতাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হল তার স্পষ্ট জবাব দেয়নি সিআইডি। সংস্থার এক মুখপাত্র জানান, তদন্তের স্বার্থে সে সব এখন বলা হচ্ছে না।

তবে এখানেই শেষ নয় সিআইডি আরও কয়েকজন মোর্চা নেতার সম্পত্তিরও খোঁজখবর করছে। তাঁদেরও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ অন্যান্য স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে সিআইডি।

মদন তামাঙ্গ হত্যা মামলায় গুরুঙ্গ-সহ শীর্ষ স্তরের সব মোর্চা নেতাকে আদালতে হাজির করতে সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তার মধ্যেই সিআইডি-র অ্যাঙ্কাউন্ট বাজেয়াপ্ত করার ঘটনায় চােপ পড়েছেন মোর্চা নেতারা। প্রত্যাঘাতের ছক কষছেন তাঁরাও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন