কমিশনের দেওয়া এনুমারেশন ফর্ম হাতে সাধারণ ভোটারেরা। —ফাইল চিত্র।
মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়া (এসআইআর) শুরু হয়েছে। বুথ স্তরের আধিকারিকেরা (বিএলও) বাড়ি বাড়ি এনুমারেশন ফর্ম বিলি করছেন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত ১ কোটি ১০ লক্ষেরও বেশি ফর্ম বিলি করা হয়েছে গোটা রাজ্যে। প্রক্রিয়া চলছে।
বিএলওদের সঙ্গে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করার সময়ে ঘুরবেন বিভিন্ন দলের এজেন্টরা (বুথ স্তরের এজেন্ট বা বিএলএ)। ফর্ম পূরণে ভোটারদের সাহায্য করা এবং গোটা প্রক্রিয়া পরিদর্শন করা তাঁদের কাজ। বিভিন্ন দল সেই এজেন্ট নির্ধারিত করে দিয়েছে। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত এজেন্টের হিসাবে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ৩ নভেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত এসআইআর প্রক্রিয়ায় ৩৫ হাজার ৬৫১ জন বিএলএ নিযুক্ত করেছে তারা।
এজেন্ট সংখ্যার নিরিখে বিজেপির পরেই রয়েছে তৃণমূল এবং সিপিএম। তৃণমূলের মোট ২৭ হাজার ৭৪৪ জন কর্মী এবং সিপিএমের ২৭ হাজার ৩৯২ জন কর্মী বিএলএ হিসাবে কাজ করছেন। বিএলওদের সঙ্গে তাঁরা বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন। এ ছাড়া, কংগ্রেসের ৬ হাজার ৮২২ জন এবং ফরোয়ার্ড ব্লকের ১০৯১ জন এজেন্ট কমিশনের তালিকায় রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত মোট বিএলএ-র সংখ্যা ৯৮ হাজার ৭০০ জন। তবে এই পরিসংখ্যান বদলাতে পারে। কারণ, আগামী দিনে বিভিন্ন দল এজেন্টের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করছেন বিএলওরা। যাঁরা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন, তাঁদের জন্য অনলাইনে এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করার ব্যবস্থা করেছে কমিশন। তবে সেই প্রক্রিয়া মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়নি। সূত্রের খবর, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে অনলাইনে ফর্ম পূরণের প্রক্রিয়া শুরু হতে বিলম্ব হচ্ছে। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা যাবে বলে কমিশনের আধিকারিকেরা আশাবাদী।
কমিশন ইতিমধ্যে এসআইআর ‘ম্যাপিং’ (শেষ যখন এসআইআর হয়েছিল, তখনকার ভোটার তালিকার সঙ্গে চলতি বছরের সর্বশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখা)-এর কাজ শুরু করে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে শেষ বার এসআইআর হয়েছিল ২০০২ সালে। ওই সময়ের ভোটার তালিকার তথ্য রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
এ রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা সাড়ে সাত কোটিরও বেশি। সিইও দফতর সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর ম্যাপিংয়ের ক্ষেত্রে সোমবার পর্যন্ত ২ কোটি ৪৫ লক্ষ ৭১ হাজার ১১৪ জন ভোটারের তথ্য গত এসআইআর-এর তথ্যের সঙ্গে মিলেছে। শতাংশের বিচারে তা ৩২.০৬ শতাংশ। বাকিদের তথ্য মেলা এখনও বাকি।