জল্পনা শেষ, মুকুলকে দলেই নিচ্ছে বিজেপি

প্রক্রিয়াটি শুরু হয় কয়েক মাস আগেই। অগস্টের গোড়ায় রাজ্যসভার এথিকস কমিটিতে মুকুলের বিরুদ্ধে আনা নারদ কেলেঙ্কারির অভিযোগ খারিজ করার আবেদন জানিয়েছিল বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৭ ০৪:০৭
Share:

মুকুল রায়।

দীর্ঘদিনের প্রয়াস এবং প্রতীক্ষার পর অবশেষে দরজা খুলতে চলেছে। সূত্রের খবর, শীঘ্রই মুকুল রায়ের দলে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা করতে চলেছে বিজেপি। সোমবার রাতেই তার দিনক্ষণ স্থির করতে পারেন অমিত শাহ।

Advertisement

প্রক্রিয়াটি শুরু হয় কয়েক মাস আগেই। অগস্টের গোড়ায় রাজ্যসভার এথিকস কমিটিতে মুকুলের বিরুদ্ধে আনা নারদ কেলেঙ্কারির অভিযোগ খারিজ করার আবেদন জানিয়েছিল বিজেপি। অন্য দিকে মুকুল বিজেপি নেতৃত্বকে কথা দিয়েছিলেন, অন্তত জনা চল্লিশ বিধায়ক-সাংসদ-নেতাকে তৃণমূল থেকে ভাঙিয়ে বিজেপিতে নিয়ে যেতে পারবেন।

আরও পড়ুন: ফেসবুকে গুরুঙ্গের পক্ষ নিয়ে ধমক খেলেন দিলীপ

Advertisement

কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা সম্ভব হয়নি মুকুলের পক্ষে। নিজের তৈরি করা ন্যাশনালিস্ট তৃণমূল কংগ্রেস-এর মঞ্চকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি-র জোট হিসেবে রাজ্যে কাজ করবেন— এই সূত্রটিকেও নাড়াচাড়া করে দেখা হচ্ছিল। কিন্তু সেটাও সম্ভব হল না, ওই মঞ্চে অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য। সূত্রের খবর, মুকুল চেষ্টা করেছিলেন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী, কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর মতো বেশ কিছু নেতাকে তাঁর সঙ্গে বিজেপি-তে যাওয়ার জন্য বোঝাতে। শেষ পর্যন্ত তাঁর সেই চেষ্টা সফল হয়নি। তৃণমূল সূত্রের খবর, শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, তাঁর দলত্যাগের প্রশ্নই নেই। কারণ এখন যদি তিনি বিজেপি-তে যোগ দেন, তা হলে বলা হবে যে কেন্দ্রীয় তদন্ত থেকে বাঁচার জন্য তিনি এই পদক্ষেপ করছেন।

রাজনৈতিক ভাবে একলা হয়ে যাওয়া মুকুল তাই চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন সরাসরি বিজেপিতে ঢোকার জন্য। সূত্রের খবর, তিন দিন ধরে রাজ্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে অমিত শাহের অফিস থেকে কথা বলা হয়েছে। মুকুল সম্পর্কে একটি মূল্যায়নের খতিয়ানও তৈরি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, মুকুলকে আর ঝুলিয়ে না রেখে নিয়ে নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। গত কাল সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পর রাত ন’টা নাগাদ তিনি কথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে। আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে মুকুল রায়কে নেওয়ার ব্যাপারে দলীয় সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে।

সূত্রের খবর, মুকুলকে বিজেপির পক্ষ থেকে মাস খানেক আগেই বলা হয়েছিল সাংসদ পদ ছেড়ে দিতে। তা হলে সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে প্রভাবশালী তত্ত্ব আনতে পারবে না। এক সময়ে সিবিআই বলত, মদন মিত্র জেল থেকে বেরোলে প্রভাব খাটিয়ে তথ্যপ্রমাণ লোপ করে দেবেন। পরে মন্ত্রিত্ব ও বিধায়ক পদ হারানোয় জামিন পেতে অসুবিধা হয়নি মদনের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন