রাজ্যের ভোট কেমন হয়, কমিশনে মুকুল

পঞ্চায়েত ও পুরসভা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের নির্বাচন কমিশন। বাংলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আওতায় হওয়া নির্বাচনগুলি শাসক শিবিরের নিয়ন্ত্রণেই থাকে বলে দীর্ঘ দিনের অভিযোগ বিরোধীদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৫০
Share:

তৃণমূলে তিনিই ছিলেন অন্যতম ভোট ম্যানেজার। দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে সেই মুকুল রায়ই এ বার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে দেখা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আওতায় হওয়া নির্বাচনগুলির ফলাফলের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন!

Advertisement

পঞ্চায়েত ও পুরসভা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের নির্বাচন কমিশন। বাংলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আওতায় হওয়া নির্বাচনগুলি শাসক শিবিরের নিয়ন্ত্রণেই থাকে বলে দীর্ঘ দিনের অভিযোগ বিরোধীদের। মুকুল শিবিরের বক্তব্য, কী ভাবে শাসক শিবির পঞ্চায়েত বা পুরসভার ভোটের সময় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ‘প্রভাবিত’ করে থাকে, তা আজ বিস্তারিত ভাবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে এসেছেন এক সময়ে তৃণমূলের হয়ে ভোট করানোর দায়িত্বে থাকা মুকুল! এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচন যেগুলি নির্বাচন কমিশন দিল্লি থেকে পরিচালনা করে, সেগুলি নিয়ে কোনও সংশয় নেই। কিন্তু রাজ্য কমিশন যে নির্বাচন পরিচালনা করে, সেগুলির স্বচ্ছতা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন রয়েছে। সে কথা জানাতেই কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছি।’’ বাংলায় পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন। তার আগে মুকুলের এই পদক্ষেপ স্বভাবতই চর্চার কারণ হয়েছে।

কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্র দাবি করেছিলেন যে, অরুণ জেটলির সৌজন্যেই মুকুলকে জেলে যেতে হয়নি বলে সদ্যপ্রাক্তন তৃণমূল নেতা নিজেই তাঁর সামনে মন্তব্য করেছিলেন। সেই দাবির প্রেক্ষিতে আজ মুকুলের ব্যাখ্যা, ‘‘সে সময়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ছিলাম আমি। দলনেতা হিসাবে আমি রাজ্যসভার নেতা অরুণ জেটলির সঙ্গে দেখা করেছিলাম। এর মধ্যে কোনও গোপন ব্যাপার নেই!’’

Advertisement

মুকুলের তৃণমূলত্যাগকে ‘সাজানো’ ঘটনা বলেও সংশয় প্রকাশ করেছিলেন সোমেনবাবু। আর তার আগের দিনই সাংবাদিক সম্মেলনে মুকুল দাবি করেন, সারদা বা নারদ-কাণ্ডে দলীয় নেতাদের ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে ব্যক্তিগত ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু জানতেন না। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, ভবিষ্যতে দলের ফেরার রাস্তা খোলা রাখতেই কি পরিকল্পিত ভাবে প্রাক্তন দলনেত্রীকে ‘ক্লিন চিট’ দিয়ে রাখলেন মুকুল? সেই প্রশ্নের জবাবে প্রাক্তন সাংসদের বক্তব্য, ‘‘আমার কাউকে ক্লিন চিট দেওয়ার অধিকার নেই! একমাত্র তা দিতে পারে তদন্তকারী সংস্থা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন