পদ সৃষ্টিতে রাশ টানতে নয়া কমিটি নবান্নের

মুখ্যসচিব মলয় দে-কে মাথায় রেখে সম্প্রতি ওই কমিটি গঠন করেছে রাজ্য সরকার। নতুন পদ সৃষ্টির প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় পাঠানোর আগে এ বার থেকে নতুন ওই কমিটি তার বাস্তবতা খতিয়ে দেখবে। এত দিন নতুন পদ তৈরি করার জন্য শুধু অর্থ দফতরের অনুমোদন নিতে হত। এ বার প্রথমে অর্থ দফতরেরই অনুমোদন নিতে হবে। পরে সেই প্রস্তাবের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট কমিটি।

Advertisement

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৮ ০৪:২৬
Share:

খরচ কমানোর জন্য বিবিধ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তারই মধ্যে ঠিক হয়েছে, যখন-তখন কোনও দফতরই আর যত ইচ্ছা পদ সৃষ্টি করতে পারবে না। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে মঞ্জুরির জন্য গঠিত পৃথক একটি কমিটির অনুমোদন না-থাকলে নতুন পদ সৃষ্টি করা যাবে না কোনও দফতরেই।

Advertisement

মুখ্যসচিব মলয় দে-কে মাথায় রেখে সম্প্রতি ওই কমিটি গঠন করেছে রাজ্য সরকার। নতুন পদ সৃষ্টির প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় পাঠানোর আগে এ বার থেকে নতুন ওই কমিটি তার বাস্তবতা খতিয়ে দেখবে। এত দিন নতুন পদ তৈরি করার জন্য শুধু অর্থ দফতরের অনুমোদন নিতে হত। এ বার প্রথমে অর্থ দফতরেরই অনুমোদন নিতে হবে। পরে সেই প্রস্তাবের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট কমিটি।

সরকারি কর্মীদের সম্পর্কে সব তথ্য এক ছাতার তলায় আনতে ‘হিউম্যান রিসোর্সেস মনিটরিং সিস্টেম’ (এইচআরএমএস) নামে অনলাইন পদ্ধতি চালু করতে চলেছে রাজ্য। তাতে প্রত্যেক কর্মীর কাজে যোগদানের দিন, অবসরের তারিখ, কোন দফতরে কাজ করেন, কত বেতন-সহ যাবতীয় তথ্য থাকবে এইচআরএমএসে। কোন দফতরে ক’জন কর্মী আছেন, সরকারি মানদণ্ডে ঠিক ক’জন কর্মী প্রয়োজন, কোন দফতরে কত কর্মী উদ্বৃত্ত বা কোথায় কর্মীর ঘাটতি কত— সবই বোঝা যাবে এই ব্যবস্থায়। প্রশাসন সূত্রের খবর, এই পদ্ধতি পাকাপাকি ভাবে শুরু হয়ে গেলে নতুন কমিটি তার ভিত্তিতে কাজ করবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘প্রকৃত কংগ্রেস’ হলে তৃণমূলে আসুন: অভিষেক

প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা জানান, কোনও দফতরে উদ্বৃত্ত কর্মী থাকলে তাঁদের অন্য ভাবে কাজে লাগানো সম্ভব। যেখানে কর্মী-ঘাটতি রয়েছে, সেখানে তাঁদের ব্যবহার করা যেতেই পারে। ফলে এর জন্য অযথা নতুন পদ সৃষ্টির দরকার হবে না। তাতে সরকারি অর্থের অপচয় রোখা যাবে। ‘‘যেখানে নতুন পদ তৈরি করা যুক্তিযুক্ত, সেখানে অবশ্যই তা করা হবে। বিষয়টি দেখভাল করবে ওই কমিটি। এ বার থেকে কোনও দফতর মনে করলেই নতুন পদ সৃষ্টি করতে পারবে না,’’ বলেন ওই কর্তা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement