Gold smuggling

মায়ানমার থেকে ও পার বাংলা হয়ে এ পারে অবৈধ সোনা, তার পর কর ফাঁকি! রানাঘাটে গ্রেফতার তিন

একাধিক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়ি ও দোকানে অভিযান চালিয়ে প্রচুর বেআইনি সোনা উদ্ধার করল রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ (ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স)। বৃহস্পতিবারের এই অভিযানে গ্রেফতার হয়েছেন তিন স্বর্ণ ব্যবসায়ীও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

রানাঘাট শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:০৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

একাধিক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়ি ও দোকানে অভিযান চালিয়ে প্রচুর বেআইনি সোনা উদ্ধার করল রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ (ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স)। বৃহস্পতিবারের এই অভিযানে গ্রেফতার হয়েছেন তিন স্বর্ণ ব্যবসায়ীও। ধৃতেরা সম্পর্কে বাবা ও তাঁর দুই ছেলে। আরও দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সোনার বাজারমূল্য তিন কোটি টাকার বেশি। ধৃতদের শুক্রবার আদালতে হাজির করিয়ে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হবে বলে তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

রাজস্ব গোয়েন্দা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতেরা জেরায় জানিয়েছেন, মায়ানমার থেকে বাংলাদেশ হয়ে সীমান্ত পেরিয়ে রানাঘাটে পৌঁছেছিল ওই সোনা। রানাঘাটের ওই স্বর্ণবিপণির কর্ণধারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরেই অবৈধ সোনাকে ঘুরপথে বৈধতা দিয়ে দেশীয় বাজারের বিক্রির অভিযোগ উঠছিল। শুল্ক আইন অমান্য করে সোনা পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। গোয়েন্দাদের সূত্রে খবর, মায়ানমারের অপরিশোধিত সোনা বাগদা বনগাঁ সীমান্ত পেরিয়ে প্রথমে রানাঘাটে পৌঁছত। তার পর বিশেষ প্রক্রিয়াকরণের মধ্য দিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এ দেশের ‘বৈধ’ সোনায় রূপান্তরিত করা হত। এই গোটা প্রক্রিয়াটিই চালাতেন ওই ঘুপচি দোকানের মালিক।

কেন অভিযান রানাঘাটে? গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার বাগদা সীমান্ত থেকে ১৩ কেজি অবৈধ সোনা বাজেয়াপ্ত করে বিএসএফ। ধৃত পাচারকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রানাঘাটের স্বর্ণবিপণি সম্পর্কে তথ্য মেলে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, রানাঘাটের তিন স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে তাঁরা এই সোনা পৌঁছে দেওয়ার বরাত পেয়েছিলেন। খবর পৌঁছয় ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের কাছে। বৃহস্পতিবার রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের একটি দল ও শুল্ক দফতরের বিশেষ বাহিনী যৌথ অভিযান চালায় রানাঘাটের বেশ কয়েকটি সোনার দোকানে। তল্লাশি চালানো হয় সোনার দোকানের মালিকদের বাড়িতেও। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ১২টি সোনার বিস্কুট। আরও ছ’টি সোনার বিস্কুট মেলে দোকানে তল্লাশি চালিয়ে। প্রত্যেকটি সোনার বিস্কুটের ওজন ১৬০ গ্রাম। বৈধ কাগজপত্র ও প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে না পারায় সোনার বিস্কুটগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে শুল্ক দফতর। বেআইনি সোনা পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সোনার দোকানের মালিক শান্তনু কর্মকার ও তাঁর দুই ছেলেকে। এ ছাড়াও আরও দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর সরকার বলেন, ‘‘ডিআরআই-এর অভিযানে বেশ কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। তবে কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে কি না, জানি না। প্রয়োজনীয় নথি চাওয়া হয়েছে। আমরা গোটা বিষয়টি দেখছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন