Arrested with Fake Notes

পুজোর মুখে বাড়ছে জাল টাকার কারবার, জঙ্গিপুরে ২ লক্ষ ‘নকল টাকা’ সমেত ধৃত যুবক-যুবতী

পুলিশি জেরায় ধৃত দু’জন জানিয়েছেন, মালদহের এক ব্যক্তির কাছ থেকে জাল নোটগুলি নিয়ে ফরাক্কার এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। ওই কাজ করলে তাঁরা পেতেন ১০ হাজার টাকা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:৫৭
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সামনেই পুজো। বাজারে বাজারে উপচে পড়ছে ভিড়। ওই ভিড়ে মিশে কেপমারির পাশাপাশি, ক্রেতাদের অতিরিক্ত চাপের সুযোগ নিয়ে মুর্শিদাবাদে বাড়ছে জাল টাকার কারবার। মঙ্গলবার দুপুরে এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায়। প্রায় ২ লক্ষ টাকার জাল নোট সমেত এক যুগলকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ বা এসওজি। ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে বুধবার জঙ্গিপুর অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতে পেশ করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Advertisement

সিআইডি সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ফারাক্কা থানা এলাকার একটি জায়গায় জাল পাতে পুলিশ। এক যুবক-যুবতীকে সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। তাঁদের হাঁটাচলার দিকে নজর রাখেন তাঁরা। সিআইডির স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের আধিকারিকেরা দু’জনের উপর নজরদারি করতে থাকেন। অন্য দিকে, বিপদের আঁচ পেয়ে তড়িঘড়ি সেখান থেকে পালাতে যান ওই যুবক-যুবতী। তবে কিছু ক্ষণের মধ্যে পুলিশ তাঁদের আটক করে। এর পর তল্লাশি চালিয়ে দু’জনের কাছে তাড়া তাড়া নোটের বান্ডিল পাওয়া যায়। গুনে গুনে দেখা যায় তাতে এক লক্ষ নিরানব্বই হাজার টাকা রয়েছে। তবে সবই জাল টাকা। তার পর দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ধৃত দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানতে পারে তাঁদের নাম সাবা সুলতানা এবং হালিম শেখ। তরুণীর বাড়ি মালদহ জেলার কালিয়াচকে। গ্রেফতার হওয়া যুবক মালদহের বৈষ্ণবনগর এলাকার বাসিন্দা। পুলিশি জেরায় ওই দু’জন জানিয়েছেন, মালদহের এক ব্যক্তির কাছ থেকে জাল নোটগুলি নিয়ে ফরাক্কার এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। ওই কাজ করে দিতে পারলে তাঁরা পেতেন ১০ হাজার টাকা। এর আগেও ওই ব্যক্তির হয়ে তাঁরা জাল টাকা পাচার করেছেন বলে পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছেন ধৃত দু’জন।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ওই দু’জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৮৯বি, ৪৮৯সি, ১২০বি ইত্যাদি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, পুজোর সময় বিভিন্ন জায়গায় জাল টাকা ছড়িয়ে দেওয়ার চক্র সক্রিয় হয়েছে। তাদের আটকাতে বিবিধ পরিকল্পনা রয়েছে পুলিশেরও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন