লালগোলা

জল প্রকল্প নিয়ে রাজ্যকে দুষলেন অধীর

কংগ্রেসের দখলে থাকায় মুর্শিদাবাদ পুর এলাকার মানুষকে আসের্নিক দূষণমুক্ত বিশুদ্ধ পানীয় জল থেকে বঞ্চিত করেছে রাজ্যের তুণমূল সরকার। বুধবার নিজের জেলার পুরভোটের প্রথম নির্বাচনী জনসভায় এসে এই অভিযোগ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০১:০৯
Share:

লালবাগে সভায় বক্তব্য রাখছেন অধীর চৌধুরী। —নিজস্ব চিত্র।

কংগ্রেসের দখলে থাকায় মুর্শিদাবাদ পুর এলাকার মানুষকে আসের্নিক দূষণমুক্ত বিশুদ্ধ পানীয় জল থেকে বঞ্চিত করেছে রাজ্যের তুণমূল সরকার। বুধবার নিজের জেলার পুরভোটের প্রথম নির্বাচনী জনসভায় এসে এই অভিযোগ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

Advertisement

আগামী ২৫ এপ্রিল মুর্শিদাবাদ জেলার ৬টি পুরসভার নির্বাচন। এই নির্বাচনের মুখে এত দিন অধীর চৌধুরী বন্ধ ঘরে কর্মিসভা করেছেন। এ দিন তিনি নিজের জেলায় পুরসভার ভোটে প্রথম প্রকাশ্য জনসভা করলেন লালবাগের পাঁচরাহা মোড়ে। ওই সভায় তিনি বলেন, “লালবাগের মানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করব বলে কথা দিয়েছিলাম। তখন কেন্দ্রে কংগ্রেস শাসিত সরকার থাকায় সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। সেই মতো লালবাগ শহরকে ‘জহরলাল নেহেরু আরবান রিন্যুয়াল মিশন’-এর আওতায় এনেছিলাম। লালবাগের পানীয় জল প্রকল্পের জন্য ৩৫ কোটি টাকা অনুমোদন করে কেন্দ্র। ৩৫ কোটির মধ্যে প্রথম দফায় ১৪ কোটি টাকা রাজ্যের কাছে পাঠিয়েও দেয় কেন্দ্র।” এরপর তিনি নাটকীয় ভঙ্গিতে মঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে একটি কাগজ তুলে ধরে বলেন, “এই দেখুন সেই ১৪ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় অনুদানের নথি। কেন্দ্র রাজ্যের কাছে পাঠালেও নানা টালবাহনায় তৃণমূল সরকার সেই টাকা দেয়নি লালবাগ পুরসভাকে। কারণ এই পুরসভা কংগ্রেসের দখলে রয়েছে।” এরপর তিনি ওই নথির ‘ফটোকপি’ লালবাগের মানুষের হাতে পৌঁছে দিতে দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেন।

লালবাগ, অর্থাত্‌ মুর্শিদাবাদ শহর একদা বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার রাজধানী ছিল। অথচ, সেই শহর এখন রাজ্য সরকারে তালিকায় ‘গ্রুপ ডি’, অর্থাত্‌ চতুর্থ শ্রেণির পুরসভা। তার ফলে, ওই পুরসভার জন্য সরকারি অর্থ বরাদ্দ খুবই কম। এই অভিযোগ তুলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “বাম আমল থেকে শুরু করে তৃণমূল জমানায় আমি ও কংগ্রেস দল রাজ্যের কাছে দাবি জানিয়েছে, বহরমপুর, মুশির্দাবাদ ও জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভাকে‌ মিলিয়ে কর্পোরেশন করা হোক। কর্পোরেশন হলে অর্থ বরাদ্দের পরিমান বাড়বে। বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে শুরু কেন্দ্রীয় সরকার- সকলেই কর্পোরেশনের জন্য অঢেল অর্থ বরাদ্দ করে থাকে। ফলে রাজ্য সরকার এই প্রস্তাব মানলে জেলার পুর এলাকায় উন্নয়নের গতি আসবে। কিন্তু বাম আমলই হোক কী তৃণমূলের আমলই হোক-কোনও সময়েই এ ব্যাপারে রাজ্য কোনও পদক্ষেপ করেনি। তবুও ‘ডি ক্যাটাগরি’-র লালবাগ শহরে হাইম্যাস্ট আলো জ্বালাতে পেরেছে কংগ্রেস পরিাচালিত পুরসভা।” সহযোগিতার বদলে কংগ্রেস পরিচালিত মুর্শিদাবাদ পুরসভা যাতে মুখ থুবড়ে পড়ে তার জন্য তৃণমূলের সরকার ও প্রশাসন আর্থিক অবরোধ সৃষ্টি করেছে বলে অধীরের অভিযোগ।

Advertisement

গত পুরভোটের সময় নবাবের দেশের মানুষকে দেওয়া তাঁর আর একটি প্রতিশ্রুতির কথা তিনি নিজেই স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “লালবাগের পর্যটন শিল্পের উন্নতির জন্য ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’ প্রকল্পের কথা বলেছিলাম। তার জন্য প্রণব মুখোপাধ্যায় (তত্‌কালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী)- এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করি। মুর্শিদাবাদের ইতিহাস নিয়ে ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’ প্রকল্পের বিষয়ের চিত্রনাট্য তৈরি করে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি দফতর। কিন্তু সেই ঐতিহাসিক ঘটনা সংক্রান্ত চিত্রনাট্য নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সহমত হতে পারেনি। ফলে ওই প্রকল্প আটকে রয়েছে।”

তৃণমূলের বিক্ষোভ। কেন্দ্র সরকারের ‘কৃষকস্বার্থ বিরোধী’ জমি অধিগ্রহণ আইনের বিরুদ্ধে বুধবার পথে নামল নাকাশিপাড়ার ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। এ দিন স্থানীয় দেশবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের সামনে থেকে ব্লক নেতা সিরাজ শেখ ও অশোক দত্তর নেতৃত্বে কেন্দ্রের জমিগ্রহন অধিগ্রহণ নীতির বিরুদ্ধে মিছিল বেথুয়াডহরীর বিভিন্ন জায়গা পরিক্রমা করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement