মমতার বার্তা বিলিতে অনীহা, নালিশ

প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ মনে করছেন, রাজ্যের অনেক প্রকল্প সম্পর্কে মানুষ ওয়াকিবহাল নন, বা সেই প্রকল্পের সুবিধা নিলেও সেটি কেন্দ্রীয় প্রকল্প নাকি রাজ্যের, সেটা তাঁদের অনেকেই জানেন না।

Advertisement

মনিরুল শেখ

বেথুয়াডহরি শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:৩৮
Share:

কেন্দ্রের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরে দাঁড়িয়েছে। কিছু দিন আগে নদিয়া সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা ঘোষণার পরেই বিভিন্ন জেলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চিঠি, ছবি ও আয়ুষ্মান কার্ড বিলিকে কেন্দ্র করে বিক্ষিপ্ত গোলমাল হচ্ছিল। নদিয়াতেও বাড়ি-বাড়ি প্রধানমন্ত্রীর চিঠি ও কার্ড বণ্টনে তৃণমূল কর্মীরা ডাক-কর্মীদের বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। এ বার তার পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছাবার্তা বিলির কাজে বিজেপি বিক্ষিপ্ত ভাবে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ মনে করছেন, রাজ্যের অনেক প্রকল্প সম্পর্কে মানুষ ওয়াকিবহাল নন, বা সেই প্রকল্পের সুবিধা নিলেও সেটি কেন্দ্রীয় প্রকল্প নাকি রাজ্যের, সেটা তাঁদের অনেকেই জানেন না। এ ব্যাপারে সকলকে জানাতে বিভিন্ন রাজ্য প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপ্তদের বাড়ি মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, নদিয়ার কিছু বিজেপি-পরিচালিত পঞ্চায়েতে এই কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের খবর, সামনে নির্বাচন, তাই কে কতটা কাজ করেছে তা দেখানোর জন্য তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হয়েছে। একে অন্যকে ছাপিয়ে যেতে চাইছে। নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা বার্তা বিলির ক্ষেত্রে তাই দুই দল পরস্পরের সামনে বাধা তৈরি করছে।

দিন দশেক আগে নাকাশিপাড়া ব্লক থেকে বিভিন্ন পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজ, বাংলা আবাস যোজনা ও বেশ কিছু ভাতা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো হয়। এই ব্লকে গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের ফল খারাপ হয়েছে। ব্লকের ভরকেন্দ্র বেথুয়াডহরির দুটি পঞ্চায়েতেরই দখল নিয়েছে গেরুয়া শিবির। বেথুয়াডহরি-১ পঞ্চায়েতে মাত্র তিনটি আসন পেয়েছে শাসক দল। বিজেপি গরিষ্ঠতা পেয়ে সেখানে বোর্ড গড়েছে। ওই পঞ্চায়েতে কিছু দিন আগে শুভেচ্ছা বার্তা চলে এসেছে। কিন্তু সেগুলি এখনও সে ভাবে বিলি হয়নি। অভিযোগ, এখানে বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাপত্র বিলিতে সহযোগিতা করছেন না। ওই পঞ্চায়েতের আগের বোর্ডের উপ প্রধান তৃণমূলের মনোরঞ্জন মালাকার বলছেন, ‘‘বিজেপি রাজনীতি করছে। আমাদের এলাকার লোকজন মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা পাচ্ছেন না। আমি পঞ্চায়েতে গিয়েছিলাম এ ব্যাপারে কথা
বলার জন্য।’’

Advertisement

ব্লক সূত্রের খবর, স্থির রয়েছিল, ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সব শুভেচ্ছাপত্র বিলি করে দিতে হবে। কিন্তু অভিযোগ, বেশ কিছু পঞ্চায়েতে বিজেপি সঙ্কীর্ণ রাজনীতি করছে। তবে ওই পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপির পার্থ ঘোষ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, ‘‘এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। আমাদেরও কিছু কিছু সদস্য শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে গিয়েছেন। নিশ্চয় তাঁরা বিলি করবেন। তৃণমূলের দাবি ঠিক নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন