মটুকেশ্বর শিবমন্দিরকে ঘিরে গড়ে উঠবে পার্ক। নিজস্ব চিত্র
দীর্ঘদিনের দাবি মেনে বড়ঞা ব্লকের মসড্ডা গ্রামের মটুকেশ্বর শিবমন্দিরের সৌন্দর্য্যায়নের পরিকল্পনা নিয়েছে বড়ঞা ব্লক প্রশাসন।
প্রায় তিনশো বছরের প্রাচীন ওই মন্দিরে বডঞা ছাড়াও খড়গ্রাম ও কান্দি ব্লকের বাসিন্দারা ওই মন্দিরে যান পুজো দিতে। একই কারণে বছরভর মন্দিরে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। কিন্তু মন্দিরে পুজো দেওয়ার পরে সারাটা দিন ওই মন্দির প্রাঙ্গনে দর্শণার্থীরা নিজেদের মতো করে ঘুরে বেড়িয়ে সময় কাটিয়ে ফের সন্ধ্যার আগেই বাড়ি ফিরে যেতে হয়। কিন্তু তাদের মনোরঞ্জনের কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই ওই মন্দিরকে ঘিরে এলাকার সৌন্দর্যায়ন বাড়ানোর দাবি ছিল এলাকার বাসিন্দাদের।
মন্দির কমিটি নিজেদের উদ্যোগে মন্দির সংস্কারের সঙ্গে সৌন্দর্য্যায়ন করেছে। মন্দিরের সামনে বহু প্রাচীন একটি বটের গাছ আছে। ওই গাছের শাখা-প্রশাখা মন্দির চত্বরে এমন ভাবে ছড়িয়ে আছে যা দেখে মনে হবে মন্দিরের মাথার উপরে কেউ যেন ছাতা ধরে আছে। বট গাছ ছাড়াও রয়েছে আম, জাম-সহ বিভিন্ন ফুল ও ফলের গাছ। সেবাইতদের দাবি, প্রতি দিন মন্দিরে শতাধিক দর্শনার্থী পুজো দিতে ভিড় করেন। শীত মরসুমে পিকনিক করতে ভিড় করেন এলাকার মানুষ। কিন্তু ওই মন্দির চত্বরে নেই কোনও শৌচাগার। পরিশুদ্ধ পানীয় জলেরও অভাব রয়েছে।
এ বার ওই মন্দির ঘিরে এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বড়ঞা ব্লক প্রশাসন। বড়ঞা ব্লকের বিডিও সাগর ঘোষ বলেন, “একশো দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে ওই মন্দিরের পাশের দীঘির সংস্কার ও একটি ইকোপার্ক তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দ্রুত ওই কাজ শুরু হবে। তবে প্রথমেই একটি শৌচাগার নির্মাণ করা হবে।”