সেই চিঠি। নিজস্ব চিত্র
গত কয়েক দিন ধরেই বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএমসিপি-র তরফে বলা হচ্ছিল, প্রশাসন এবিভিপি-কে অন্যায় সুবিধা দিচ্ছে। বুধবার ছাত্র ভর্তির সময়ে এবিভিপি নিয়ম ভেঙে ‘হেল্প ডেস্ক’ খুলেছিল। প্রশাসন সব দেখে-শুনেও চোখ বুজে ছিল।
এ বার পাল্টা দিতে মাঠে নামল এবিভিপি। বৃহস্পতিবার আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠনের বিসিকেভি শাখার আহ্বায়ক মুকুল সমাদ্দার প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দাবি করেন, ‘ব্যাকফুটে’ গিয়েই এবিভিপি সম্পর্কে টিএমসিপি এ সব মিথ্যা কথা বলছে।
বৃহস্পতিবার একটি চিঠি প্রকাশ করে মুকুল দাবি করেন, দিন কয়েক আগে টিএমসিপি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনিট খুলেছে। সভাপতি হয়েছেন অনুভব হুই। কিন্তু এই অনুভবই জুনের প্রথম সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিভিপি-র ইউনিট খুলতে চেয়ে সংগঠনের জেলা প্রমুখের কাছে আবেদন করেছিলেন। অনুভব হয়তো ভেবেছিলেন, এবিভিপি তাঁকে বড় পদ দেবে। কিন্তু সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন যাচাই না-করে কাউকে পদে বসায় না। আশাহত হয়ে তিনি টিএমসিপি-তে গিয়ে জুটেছেন।
এ দিনই আর একটি চিঠি প্রকাশ করে মুকুল দাবি করেন, ছয় ছাত্র অভিযোগ করেছেন যে অনুমতি না নিয়েই টিএমসিপি তাঁদের নাম পরিচালন সমিতিতে ঢুকিয়েছে। ওই চিঠিতে প্রশ্ন করা হয়েছে, এ কেমন সংগঠন যে সংগঠন সম্মতি না নিয়েই পরিচালন কমিটিতে জায়গা দেয়? সংগঠনের প্রাথমিক সদস্যপদ না থাকা সত্ত্বেও একেবারে পরিচালন সমিতিতে জায়গা হয়ে যায়? মুকুলের দাবি, ‘‘ওই ছ’জনের কেউ-কেউ আমাদের সদস্য। তা সত্ত্বেও টিএমসিপি তাদের কমিটিতে রেখেছে। টিএমসিপি-র সঙ্গে কোনও ছাত্র নেই।’’
অনুভবের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিভিপি-র ডাকা একটি সাধারণ সভায় তিনি গিয়েছিলেন এবং কাগজে সই করেছিলেন। তা-ই এ ভাবে প্রচার করা হচ্ছে। টিএমসিপি সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও এবিভিপি-র সভায় গেলেন কেন, তার সদুত্তর অবশ্য মেলেনি। ছয় ছাত্রের অনুমতি ছাড়াই তাদের পরিচালন কমিটির সদস্য করা প্রসঙ্গে অনুভব বলেন, ‘‘কোনও মন্তব্য করব না।’’ টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি সৌরিক মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘এই ধরনের কোনও কিছু আমি জানিই না। খোঁজ নিয়ে দেখব। এখনও আমাদের এমন দুরবস্থা হয়নি যে এবিভিপি-র লোক সংগঠনে ঢোকাতে হবে!’’