দিনের ব্যস্ত সময়ে সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে যানজট তৈরি হল। রবিবার দুপুরে হলদিয়া-ফরাক্কা বাদশাহি সড়কের উপর বড়ঞার কার্টনা মোড় সংলগ্ন এলাকায় দেউকি নদীর সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই সেতু দিয়ে সব সময় যানবাহন চলাচল করে। ঘটনার প্রতক্ষদর্শী মনিরুল ইসলাম জানান, তিনি মোটরবাইকে চেপে সেতুতে উঠতে যাবেন, এমন মুহূর্তে আচমকা একটি পাথর বোঝাই গাড়ি সেতুতে উঠতেই এই বিপত্তি। সেতুর গোড়ার একাংশ ভেঙে যায়।
তারপর থেকেই প্রশাসন ওই রাস্তায় এ দিনের মতো যান চলাচলে লাগাম পড়ায়। রাস্তার দু’ধারে গাড়ির সারি দাঁড়িয়ে পড়ে। অনেক চালকই ঘুরপথে গন্তব্যে পৌঁছন।
বড়ঞার লোকজন মহকুমা শহর কান্দিতে আসতে ওই রাস্তা ব্যবহার করেন। কলকাতা ও বর্ধমানের সঙ্গে কান্দির মানুষের যোগাযোগের মাধ্যমও ওই সেতু। প্রতিদিন বিভিন্ন রুটের অন্তত শ’খানেক বাস ওই সেতু পেরিয়ে যাতায়াত করে। এ দিনের ওই বিভ্রাটে যাত্রীরা সমস্যায় পড়ে যান। যে যার মতো বিকল্প রাস্তা ধরে গন্তব্যস্থলে পৌঁছন। স্থানীয় বাসিন্দা মফিজুল মল্লিক বলেন, ‘‘এ রকম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উপরে অবস্থিত সেতু ভেঙে যাওয়ায় হয়রানির শিকার হতে হল।’’ এলাকার লোকজনের দাবি, ‘‘বাস-লরি ছাড়াও ওই সেতু পেরিয়ে পাথর-বালি বোঝাই অগুন্তি লরি ওই সেতু পার হয়। সেই ভারে সেতুটি দুর্বল হয়ে পড়েছিল।’’
পূর্ত দফতরের বহরমপুর-২ বিভাগের আধিকারিক ডিএন শীল বলেন, “সেতুর শুরুতেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। কী ভাবে তা ভাঙল সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেতুটি সংস্কার করে যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে।’’
মহিলার মৃত্যু। অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক মহিলার। নাম লাভলি বিবি (৩২)। বাড়ি ডোমকলের কলাবাড়িয়া গ্রামে। ওই মহিলার পরিবারের দাবি, তাঁকে খুন করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ আটক করেছে স্বামী মুকুল শেখকে। বছর চোদ্দ আগে প্রতিবেশি গ্রাম হিতানপুরের বাসিন্দা লাভলির বিয়ে হয় কলাবাড়িয়ার মুকুলের সঙ্গে। এ দিন বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি বাবলা গাছে ওই মহিলার দেহ ঝুলতে দেখে গ্রামবাসীরা লাভলির বাবার বাড়ি ও পুলিশে খবর দেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।