Coronavirus in West Bengal

ঘরে ফিরেও হল না ফেরা

কেউ ছয় মাস, কেউ আবার তার বেশি সময় ধরে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, নাগপুর সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ফিরেছেন। লকডাউনের কারণে বন্ধ কাজ।

Advertisement

মফিদুল ইসলাম

হরিহরপাড়া শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২০ ০৬:০৪
Share:

বাইরে থেকে দেখা। নিজস্ব চিত্র

ঘরে ফেরা শ্রমিকদের বাড়িতে নয়, স্কুল বাড়িতে দরজায় তালা ঝুলিয়ে থাকার বন্দোবস্ত করেছেন হরিহরপাড়ার শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দারা।

Advertisement

কেউ ছয় মাস, কেউ আবার তার বেশি সময় ধরে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, নাগপুর সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ফিরেছেন। লকডাউনের কারণে বন্ধ কাজ। কেউ বাসে চেপে, কেউ আনাজের ট্রাকে করে, কেউ আবার সাইকেল চড়ে ঘরে ফিরেছেন। ঘরে ফিরেই তাদের ঠাঁই হয়েছে গ্রামের একটি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে। শ্রমিকদের ১৪ দিন কোয়রান্টিন নিশ্চিত করতে এমনই উদ্যোগ। শুধু স্কুল বাড়িতে রাখা-ই নয়, তাঁরা যাতে স্কুলের গণ্ডি না পেরোতে পারেন, সে জন্য স্কুলের গেটে তালাও ঝুলিয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁদের খাবারের বন্দোবস্ত করছে গ্রামের বাসিন্দারাই। চাল, ডাল,আলু, অন্য আনাজই নয় শ্রমিকদের চাহিদা মতো মাছ, মাংসেরও যোগান দিচ্ছেন গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামের বাসিন্দা মুকুল মণ্ডল বলছেন, ‘‘অধিকাংশ শ্রমিকের হোম কোয়ারান্টিনে থাকার মতো পরিবেশ বা পরিস্থিতি নেই। তাঁরা আটকে থাকতেও চাইছেন না। তাই বাধ্য হয়েই এই ব্যবস্থা।’’ দিন পাঁচেক আগে নাগপুর থেকে ঘরে ফিরেছেন গ্রামের বাসিন্দা আবুজার সেখ, লিটন শেখরা। দিন কয়েক আগে হায়দরাবাদ থেকে গ্রামে ফিরেছেন মিজানুর মণ্ডল। সোমবার বেঙ্গালুরু থেকে ঘরে ফিরেছেন সাইফুল সেখ সহ আরও দুই শ্রমিক। বর্তমানে গ্রামের বাসিন্দাদের উদ্যোগে এরকম ১১ জনের ঠিকানা এখন গ্রামের স্কুল বাড়িতেই। গ্রামের বাসিন্দারাই তাঁদের খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন, আবার নিজেরাও রান্না করে খাচ্ছেন ঘরে ফেরা শ্রমিকেরা। গ্রামের বাসিন্দা মুক্ত দাস বলছেন, ‘‘পরেও যে সমস্ত শ্রমিক ভিন্ রাজ্য থেকে ঘরে ফিরবেন তাঁদের প্রত্যেককেই এরকম ভাবে ১৪ দিন কোয়রান্টিনে রাখা হবে।’’ স্কুলের জানালার বাইরে থেকেই পরিবারের লোকেরা স্কুল বাড়িতে থাকা শ্রমিকদের সাথে সাক্ষাৎ করছেন। ঘরে ফেরা এক শ্রমিকের বাবা বলছেন, ‘‘উপায় নেই। তাই ছেলে ফিরলেও ঘরে ফেরেনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন