Coronavirus

ফতোয়া না মানলে হাজতবাস

প্রশাসনের তরফে  দাবি করা হয়েছে কেবল নোটিসে নয়, মুখে মুখে বলেও দেওয়া হয়েছে, ‘ঘরে না থাকলে এ বার জেলে থাকবেন।’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডোমকল শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২০ ০৩:৩০
Share:

সেই নোটিস। নিজস্ব চিত্র

মুখের কথায় কাজ হচ্ছিল না। ভিন রাজ্যে থেকে ফিরেই চায়ের দোকানের আড্ডা কিংবা বাইক হাঁকানো— কোনও মতেই বন্ধ করতে পারছিল না প্রশাসন।

Advertisement

এ বার ভিন রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের বাইরে দাপিয়ে বেড়ানোয় লাগাম টানতে রীতিমত আইনি ধারা তুলে জামিন অযোগ্য মামলার হুমকি-সহ নোটিস দিল প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে কেবল নোটিসে নয়, মুখে মুখে বলেও দেওয়া হয়েছে, ‘ঘরে না থাকলে এ বার জেলে থাকবেন।’ সেই নোটিস কোনও কোনও বাড়িতে লোক না পেয়ে দরজায় সেঁটে দিয়ে এসেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। আর তাতেই প্রতিষেধকের মতো কাজ হয়েছে ডোমকলের গ্রাম গঞ্জে। নোটিস দেখে ঘরমুখো হয়েছেন অনেকে। ডোমকল মহাকুমার এসিএমওএইচ মামুন রশিদ বলেছেন, ‘‘প্রথমে অনেক আবেদন-নিবেদন করেছি আমরা, কিন্তু তাতে কোনও কাজ হচ্ছিল না, ফলে রীতিমতো প্রশাসনের সিলমোহর দেওয়া চিঠি পৌঁছে দিয়েছি বাড়িতে। আর তাতেই কাজ হয়েছে ভিটামিনের মতো!’’ জনতা কার্ফুর সময় থেকেই ডোমকলের বিভিন্ন গ্রামে ফেরা শুরু হয়েছে ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের। আর তার পর থেকেই আতঙ্ক দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মনে, একে কেরলে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। তার উপরে তারা দীর্ঘ পথ ট্রেনে আসায় করোনা তাদের মাধ্যমে সংক্রমণের আতঙ্কটা মানুষের মনে ভিড় করেছে বেশি। সাধারণ মানুষ প্রশাসনের দ্বারস্থ হতে শুরু করে সেই থেকে। প্রশাসনও নানা ভাবে প্রচার শুরু করে। কিন্তু তার পরেও ভিন রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের লাগাম টানা যায়নি কোনও ভাবেই, বরং দীর্ঘদিন পরে ঘরে ফিরেই বাইক হাঁকিয়ে এ এপ্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ঘুরেছেন শ্রমিকেরা।

এমনকি স্বাস্থ্যকর্মী বা আশা কর্মীরা তাদের ওই বিষয়ে বারণ করতে গেলেও হেনস্থা হতে হয়েছে তাদের। ভিন রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিক বা তাদের পরিবারের কাছ থেকে হুমকিও পেয়েছেন অনেক আশা কর্মী। ডোমকলের রায়পুর এলাকার এক আশা কর্মীর দাবি, ‘‘কেবল বলতে গিয়ে নয়, ভিন রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের বাড়িতে নোটিস দিতে গিয়েও হাজারো ঝামেলায় পড়তে হয়েছে আমাদের।’’ তারা দাবি তুলেছে— শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে তবেই গ্রামে ফিরেছি তা হলে বাইরে ঘুরতে অসুবিধা কোথায়! অনেক বুঝিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। তাই কড়া নোটিসের দ্বারস্থ হয়েছে প্রশাসন। আর তাতে কাজও বয়েছে।

Advertisement

অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন