Coronavirus Lockdown

লকডাউনে চিকিৎসায় খুশি শক্তিপুর

করোনার ছায়া পড়েছে গাঁয়ের গভীরেও। নিভু নিভু গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির সামনেও ভয়ার্ত মানুষের আঁকাবাঁকা লাইন। কেমন আছে সেই সব অচেনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি, খোঁজ নিল আনন্দবাজারসাধারণ ক্ষেত্রে বহির্বিভাগে রোগীর সংখ্যা থাকে ৪০০ সেটা এখন প্রায় দু’শোর কাছাকাছি

Advertisement

সেবাব্রত মুখোপাধ্যায়

শক্তিপুর শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২০ ০৫:০০
Share:

প্রতীকী ছবি

ভাগীরথী নদী বেলডাঙা ২ ব্লককে পূর্ব ও পশ্চিমে ভাগ করেছে। নদীর একদিকে পাঁচটি ও অন্যদিকে ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত। লকডাউন চলাকলীন এই সমস্ত মানুষের চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছে শক্তিপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। মাঝে ভাগীরথী বয়ে গেলেও নৌকা পথে পারাপার করেই মানুষ আসেন শক্তিপুর ব্লক হাসপাতালে। লকডাউনে নানা ভাবে চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র। গত প্রায় সাত দিন ধরে নানা রাজ্য থেকে আগত শ্রমিকদের লালা রসের পরীক্ষার ব্যবস্থা করছে এই হাসপাতাল। রয়েছে থার্মাল স্ক্রিনিং ব্যবস্থা। সঙ্গে যক্ষ্মারোগীদের জন্য রয়েছে বিশেষ পরীক্ষার ব্যবস্থা। এ ছাড়া প্রসূতিকালীন নানা সমস্যার পরীক্ষার সঙ্গে রয়েছে প্রসবের ব্যবস্থা। ৩০ টি শয্যা রয়েছে অন্তর্বিভাগে। সেখানে ১৫টি করে বরাদ্দ মহিলাদের জন্য। বহির্বিভাগে নিয়মিত রোগী দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের ফলে রোগী সংখ্যা কমেছে।

Advertisement

সাধারণ ক্ষেত্রে বহির্বিভাগে রোগীর সংখ্যা থাকে ৪০০ সেটা এখন প্রায় দু’শোর কাছাকাছি। অন্য দিকে অন্তর্বিভাগে ৩০টি বেডে রোগী ভর্তি থাকে। সেটা বর্তমানে কোনও দিন দুই, কোনও দিন তিন জন রোগী ভর্তি থাকছেন। দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, করোনা আতঙ্কে এই সংখ্যা কমেছে। যারা সাধারণ সময়ে যে কোনও কারণে হাসপাতালে আসেন, তাঁরা হাসপাতাল এড়িয়ে থাকছেন।

রোগীরা কী বলছেন? সঙ্গীতা বিশ্বাস বলেন, “লকডাউন চলাকালীন তিন বার হাসপাতালে এসেছি। যথেষ্ট পরিষেবা পেয়েছি।” শক্তিপুরের বাসিন্দা জগন্নাথ ঘোষ বলছেন, ‘‘আমি হাসপাতালে যাচ্ছি না।’’ তবে হাসপাতালে লালারস পরীক্ষা কেন্দ্র হওয়ায় খুশি এলাকার মানুষেরা।

Advertisement

হাসপাতালে পাঁচ জন চিকিৎসক রয়েছেন। বেলডাঙা ২ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক তরুণ বারুই বলেন, “আমাদের হাসপাতাল লকডাউন চলাকালীন বেশ কিছু পরিষেবা বাড়িয়েছে। এখানে লালারস পরীক্ষা শুরু হয়েছে গত কয়েক দিন। থার্মাল স্ট্রিনিং চলছে। সঙ্গে ইনডোর ও আউটডোরের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। কোনও রোগীর চিকিৎসায় কোনও ত্রুটি যাতে না হয়, তা দেখা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন