প্রতীকী ছবি।
বহরমপুরের একটি আবাসনে তিন মহিলা খুনের মামলায় বৃহস্পতিবার মূল অভিযুক্ত জ্যোতিষী নিত্যানন্দ দাসকে প্রকাশ্য এজলাসে ভর্ৎসনা করলেন মুর্শিদাবাদ জেলা ও দায়রা বিচারক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়।
২০১৪ সালের ৪ জানুয়ারি বৃদ্ধা প্রভা দাস, তাঁর ভাইঝি বছর চল্লিশের বিজয়া বসু ও বিজয়ার কিশোরী মেয়ে আত্রেয়ীর মৃতদেহ বহরমপুরের ওই আবাসনের ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় নিত্যানন্দকে গ্রেফতার করে পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে। ওই খুনের মামলায় মুর্শিদাবাদ জেলার কোনও আইনজীবী নিত্যানন্দের পক্ষে মামলা লড়তে রাজি হননি। আইন অনুসারে সরকার তাঁর পক্ষে এক আইনজীবীকে নিয়োগ করে। ওই মামলায় ২৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়ে গিয়েছে। শেষ সাক্ষী হিসেবে ওই মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার সুব্রত ভট্টাচার্যের সাক্ষ্যগ্রহণ বাকি রয়েছে।
এ দিন জেলা জজ আদালতে ওই মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের সাক্ষ্যগ্রহণ ছিল। কিন্তু অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী হাজির না হওয়ায় এ দিন সাক্ষ্যগ্রহণপর্ব ভেস্তে যায়। সরকার পক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত দত্ত বলেন, ‘‘এ দিন নিত্যানন্দের আইনজীবী আদালতে হাজির না হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। ওই মামলার পরবর্তী দিন আগামী ২৩ এবং ২৪ জুলাই।’’ এর আগে গত ১১ জুন সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ছিল। ওই দিন এজলাসে বিচারক, সরকার পক্ষের দুই আইনজীবী প্রশান্ত দত্ত ও গোরা সেন, তদন্তকারী পুলিশ অফিসার সুব্রত ভট্টাচার্য ও নিত্যানন্দের আইনজীবী এজলাসে হাজির ছিলেন। তবুও ওই দিন সাক্ষ্যগ্রহণ সম্ভব হয়নি। ওই দিন বিচারকের উদ্দেশ্যে নিত্যানন্দ জানান, সরকারি ভাবে দেওয়া তাঁর পক্ষের আইনজীবী বরেন রায়ের প্রতি তাঁর আস্থা নেই। এ দিন নতুন আইনজীবী তিনি নিয়োগ করতে চান। আর্জি মানলেও সেই আইনজীবী না আসায় বিচারক নিত্যানন্দকে ভর্ৎসনা করেন।