সিজার মানেই রেফার

সম্প্রতি আনন্দবাজারের পাঠকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন রানাঘাট ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিতা পোদ্দার। স্থানীয় বাসিন্দাদের নানা দাবি-দাওয়া, প্রাপ্তি-প্রত্যাশার বিষয় উঠে এল আলোচনায়। সঞ্চালনায় ছিলেন সৌমিত্র সিকদার। রইল বাছাই প্রশ্নোত্তর।সম্প্রতি আনন্দবাজারের পাঠকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন রানাঘাট ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিতা পোদ্দার। স্থানীয় বাসিন্দাদের নানা দাবি-দাওয়া, প্রাপ্তি-প্রত্যাশার বিষয় উঠে এল আলোচনায়। সঞ্চালনায় ছিলেন সৌমিত্র সিকদার। রইল বাছাই প্রশ্নোত্তর।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৬ ০০:০৩
Share:

বৃষ্টি হতেই রাস্তার এই হাল আড়ংঘাটায়। — নিজস্ব চিত্র।

সম্প্রতি আনন্দবাজারের পাঠকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন রানাঘাট ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিতা পোদ্দার। স্থানীয় বাসিন্দাদের নানা দাবি-দাওয়া, প্রাপ্তি-প্রত্যাশার বিষয় উঠে এল আলোচনায়। সঞ্চালনায় ছিলেন সৌমিত্র সিকদার। রইল বাছাই প্রশ্নোত্তর।

Advertisement

মাঝেরগ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব শিমুলিয়া থেকে হুমনিয়াপোতা হয়ে এরুলি পর্যন্ত রাস্তার বেহাল অবস্থা। মাটি ও মোরামের রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। রাস্তাটা পাকা হয়ে গেলে খুব সহজেই উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা সহজ হবে।

জয়ন্ত পাল, মাঝেরগ্রাম

Advertisement

আর্থিক সমস্যার জন্য ইচ্ছা থাকলেও অনেক কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। এখন আর আগের মতো পঞ্চায়েত সমিতিতে টাকা আসে না। তবুও, কিছু করা যায় কিনা ভেবে দেখছি।

আমাদের এলাকায় কোনও পার্ক নেই। একটা পার্ক থাকলে সকলের খুব ভাল হত। বিশেষ করে শিশুদের।

রূপঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, বরেন্দ্রনগর

আমি যত দূর জানি আশপাশের এলাকায় পার্ক আছে। তবুও, যখন দাবি জানানো হচ্ছে, তখন বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাংসদ তাপস মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলব।

আড়ংঘাটা ব্যাঙ্ক মোড় থেকে চূর্ণী নদী পর্যন্ত এলাকায় কোনও ড্রেন নেই। যার জন্য একটু বৃষ্টি হলেই সমস্যা হয়। বিশেষ করে বর্ষায়।

অম্লান ভট্টাচার্য, আড়ংঘাটা

আমিও মনে করি এটার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু আর্থিক কারণে পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষে কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। তবুও বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হবে।

গাংনাপুর বাজার থেকে রায়পারা পর্যন্ত রাস্তাটির বেহাল অবস্থা। সেটা দিকে নজর দিলে এলেকার মানুষ উপকৃত হবে।

সুধীর ধর, দেবগ্রাম

আমিও চাই রাস্তাটি তৈরি হোক। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।

মাঝেরগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেহাল অবস্থা। কোনও চিকিৎসক আসেন না। যে কারণে এলাকার মানুষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কেউ অসুস্থ হলে ১৮ কিলোমিটার দূরে রানাঘাট বা বনগাঁয় নিয়ে যেতে হয়।

জয়ন্ত পাল, মাঝেরগ্রাম

বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরের। এ ক্ষেত্রে আমার বিশেষ কিছু বলার নেই। তবে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলব।

রানাঘাট শহর লাগোয়া মিলপাড়া থেকে যুগলকিশোর রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় হাল খারাপ। মানুষের স্বার্থে এটা সংস্কার করা দরকার।

রতনকুমার চট্টোপাধ্যায়, হিজুলী

রাস্তাটির বিষয়ে খোঁজ খবর নেব। কি করা যায় সেটা দেখব।

আমাদের এলাকায় একটি শ্মশান আছে। কিন্তু সেখানে যাওয়ার রাস্তাটা ভাল নয়। শবদাহ করতে এসে যাত্রীদের অসুবিধার মুখে পড়তে হয়।

ছবি ভট্টাচার্য, মিঠাপুর

শ্মশান, কবরস্থানের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়। সেই টাকা এলে কাজটা করে দেওয়া হবে।

হাজরাপুর, বারহাট্টা, খোসালপুরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন হওয়ার কথা আছে। এগুলো কী অবস্থায় আছে, তা জানতে পারলে উপকার হয়।

স্বাতী ঘোষ, আড়ংঘাটা

বিষয়টি পঞ্চায়েত সমিতি দেখে না। তাই বিশেষ কিছু বলতে পারব না। জেলার কর্তাদের সঙ্গে কথা বলব।

বিভিন্ন জায়গায় উন্নয়নের কাজ হচ্ছে। বিশেষ করে রাস্তার কাজ। এ সব কাজের ক্ষেত্রে কোথাও ঠিক মতো তদারকি হচ্ছে না।

রাজেশ ভৌমিক, দলুয়াবাড়ি

তদারকির বিষয়ে আমরা কিছু করি না। তাই আমার বিশেষ কিছু বলার নেই।

পরিস্রুত পানীয় জল নিয়ে এলাকায় সমস্যা রয়েছে। সব জায়গায় শোনা যায় পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা হচ্ছে। আমাদের এলাকায় যদি তা করা যায়, তাহলে খুব ভাল হয়।

শম্ভুনাথ দাস, পাঁচবেড়িয়া কলোনি

জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর পরিস্রুত পানীয় জলের বিষয়টি দেখে। আমরা দেখি না।

এরুলি-মাঝের গ্রাম ও চিনাপুকুর-মাঝেরগ্রাম রাস্তার অবস্থা ভাল নয়। এ সব রাস্তার দিকে নজর দিলে এলাকার মানুষের উপকার হবে।

দীপক সিকদার, আঁইশমালি

রাস্তার বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। খোঁজ খবর নিয়ে দেখব।

আড়ংঘাটায় রানাঘাট ২ নম্বর ব্লক হাসপাতালে চিকিৎসার বেশ উন্নতি হয়েছে। কিন্তু সিজারের ব্যবস্থা হয়নি।

স্বাতী ঘোষ, আড়ংঘাটা

স্বাস্থ্য দফতরের বিষয়। এ ব্যাপারে আমাদের বিশেষ কিছু করার নেই।

ডাঙাপাড়া-পাটুলি পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার রাস্তার বেহাল অবস্থা। হাঁটাচলা করা সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষার সময়ে।

বঙ্কিম বিশ্বাস, নাসেরকুলি

৩৪ বছরে বাম আমলে এসব জায়গায় কিছু হয়নি। আমরা ক্ষমতায় আসার পর এ সব কাজে হাত দিতে হচ্ছে।

অনেক কিছু শোনা যায়— নির্মল গ্রাম, নির্মল বাংলা। কিন্তু আজও বিভিন্ন জায়গায় শৌচাগার করে দেওয়া হয়নি। এমনকী মানুষ টাকা জমা দিয়েও শৌচাগার পাচ্ছেন না। কেন?

বাসুদেব দাস, কৃষ্ণপুর

এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই বিষয়টি পঞ্চায়েত সমিতি দেখে না। এলাকার মানুষ বিষয়টি নিয়ে লিখিত ভাবে জানালে জেলাশাসক, ব্লক আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনা করে দেখা যেতে পারে।

সরকারের কাছ থেকে অনেক চাষি কৃষি সহায়ক সরঞ্জাম পেয়েছেন। কিন্তু, বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সকলে ক্ষতিপূরনের টাকা পাননি।

তাপস সাঁধুখা, কামারগড়িয়া

যত দূর জানি হাজার চারেক কৃষক এই ক্ষতিপূরণ পাননি। সমস্যার কথা জেলার আধিকারিকদের জানাবো।

কামালপুর-শঙ্করপুর যাওয়ার রাস্তা অবস্থা খুবই খারাপ। বৃষ্টি হলে তো আর সমস্যার সীমা থাকে না।

শ্রীবাস বিশ্বাস, শঙ্করপুর

আমি যতদূর জানি রাস্তার জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছে।

এই ব্লকের একমাত্র কলেজ পানিখালিতে। রাতে কলেজের সামনেটা অন্ধকার হয়ে থাকে। আলোর ব্যবস্থা করলে ভাল হয়।

অজয় সরকার, পানিখলি

ওখানে আলোর প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।

শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রুপশ্রীপল্লী পশ্চিম পাড় এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা আছে। শ’চারেক পরিবার বিপদে পড়ছেন।

দেবাঞ্জন গুহঠাকুরতা, রুপশ্রীপল্লী

পরিস্রুত পানীয় জলের বিষয়টি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর দেখছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement