নির্বাচন বিধি লাগু হওয়ার পরে মুরগির বাচ্চা বিলি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল হাঁসখালিতে। বুধবার হাঁসখালি পঞ্চায়েত সমিতি থেকে মুরগির বাচ্চা বিলি শুরু হয়। সেই খবর পেয়ে সিপিএমের তরফে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। তার পরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। রানাঘাট মহকুমা প্রশাসনের দাবি, অভিযোগ পাওয়ার পরেই মুরগির বাচ্চা বিলি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
হাঁসখালি পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা মিলন সিকদার বলেন, ‘‘নির্বাচন বিধি লাগু হওয়ার পরে কোনও ভাবেই এই ধরনের কাজ করা যায় না। অথচ নির্বাচন বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তৃণমূল মুরগির বাচ্চা বিলি করে পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি করছে।’’
যদিও এমন অভিযোগ মানতে চাননি হাঁসখালি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের অপর্ণা চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘কারা মুরগির বাচ্চা পাবেন সেই তালিকা আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সেই মতো সরকারি নির্দেশিকাও জারি করা হয়। কিন্তু মুরগির বাচ্চাগুলির বয়স ২৮ দিন না হওয়ার কারণে আমরা বিলি করতে পারছিলাম না।’’
কিন্তু এখন কেন দিচ্ছেন? অপর্ণাদেবীর কথায়, ‘‘আসলে বাচ্চাগুলোর বয়স ২৮ দিন হয়ে গিয়েছে। এখন না দিলে ফার্মে সেগুলি রেখে দিতে হত। তাতে অতিরক্ত খরচ হত। সেই খরচ কিন্তু সরকার দিত না। সেই কারণেই আমরা বাচ্চাগুলো দিয়ে দিতে চেয়েছিলাম।’’
যদিও রানাঘাটের মহকুমাশাসক প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘নির্বাচন বিধি লাগু হওয়ার পরে এ ভাবে পঞ্চায়েত সমিতি মুরগির বাচ্চা বিলি করতে পারে না। বিষয়টি জানার পরে আমরা সেটা বন্ধ করে দিয়েছি।’’
এ দিন একশোটি পরিবারের মধ্যে মুরগির বাচ্চা বিলি করার কথা ছিল বলে পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে।
শ্লীলতাহানি। স্কুলের বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরছিল পাঁচ জন ছাত্রী। ফেরার পথে চার যুবক তাদের শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। বুধবার বিকেলে ওই ঘটনার পরে ছাত্রীদের পরিবারের তরফে শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই যুবকদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।