Humayun Kabir

হুমকি দেওয়ায় এফআইআরের মুখে হুমায়ুন

বিরোধী দলের নেতারা হামেশাই অভিযোগ তোলেন— পুলিশ তৃণমূলের ‘অন্যায়’ দেখলে চোখ বুজে থাকে।

Advertisement

সেবাব্রত মুখোপাধ্যায়

রেজিনগর শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:২৩
Share:

তৃণমূল নেতা হুমায়ুন কবীর।

প্রত্যাবর্তনের দিন কয়েকের মধ্যেই এলাকায় গোষ্ঠী বিবাদকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। পাল্টা তোপ দেগে তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘‘আমার দলে ফিরে আসা অনেকেরই সহ্য হচ্ছে না। তাই গন্ডগোল পাকিয়ে আমার দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে।’’ প্রাক্তন মন্ত্রী সেই হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে এ বার জেলা পুলিশের তরফেই এফআইআর দায়ের করা হল।

Advertisement

বিরোধী দলের নেতারা হামেশাই অভিযোগ তোলেন— পুলিশ তৃণমূলের ‘অন্যায়’ দেখলে চোখ বুজে থাকে। রেজিনগরের প্রাক্তন বিধায়ক হুমায়ূন কবীরের বিরুদ্ধে রেজিনগর থানায় এফআইআর দায়ের হওয়ায় বিরোধীদের সেই চেনা নালিশে কুলুপ পড়লেও অস্বস্তিতে পড়ল শাসক দল।

সম্প্রতি রেজিনগরের তেঘরি-নাজিরপুরে গিয়েছিলেন হুমায়ূন। সেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে ‘মন্তব্য’ করায় আইপিসি ৪০৬ ধারায় হুমায়ুনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান।

Advertisement

যার পাল্টা হুমায়ুন বলছেন, “মানুষের ডাকে ওই এলাকায় গিয়েছিলাম। তেঘরি নাজিরপুর এলাকার মানুষ বড় মহরমের অনুষ্ঠান করার কথা বলেছিলেন। আমি তাতে সায় দিইনি। কিন্তু গিয়ে শুনলাম আগের দিন রাতে পুলিশ এসে হুমকি দিয়ে গিয়েছে, কোনও অনুষ্ঠান করা যাবে না। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, আমি আসব বলেই নাকি পুলিশ অনুষ্ঠান করতে দিতে চায় না। তা নিয়েই কয়েকটা কথা বলেছি।”

পুলিশের পাল্টা অভিযোগ ওই গ্রামে গিয়ে জমায়েতে পুলিশকে হুমকি দিয়ে এসেছিলেন হুমায়ূন। কিন্তু কী সেই হুমকি?

কোনও রাখঢাক না রেখেই হুমায়ুন বলেন, ‘‘স্থানীয় বিধায়ক রবিউল আলমের সাহায্য নিয়ে ব্লক সভাপতি আতাউর রহমান ব্যবসা করছেন। জয়নগরে তাঁর বাড়িতে আদালত বসাচ্ছে। বাদি ও বিবাদির কাছে টাকা নিচ্ছে। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তারই প্রতিবাদ করেছি। এর বেশি কিছু নয়। আর হ্যাঁ, ওই এফআইআরের কথা জানি, পুলিশ আমাকে রেজিনগর থানায় ডেকেছিল। আমি দেখা করেছি।”

আতাউর অবশ্য পাল্টা জানিয়ে রাখছেন, ‘‘প্রকাশ্যে দলের বিধায়ক, সভাপতির সমালোচনা করছেন। গত লোকসভা ভোটে এই রেজিনগর বিধানসভায় তৃণমূল প্রায় ৩৬ হাজার ভোটে এগিয়ে গিয়েছিল বিধায়ক রবিউল আলমের নেতৃত্বে। মানুষ সব বোঝে কে ঠিক, কে ভুল।”

তবে, রেজিনগরের তৃণমূল বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী বলেন, “আমার এ ব্যাপারে কিছু জানা নেই। পুলিশ প্রশাসন নিজের মত চলবে।” একই সুর জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খানের, ‘‘আমি সবিস্তারে জানি না। যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা পুলিশই নেবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন