বাজারে: রঘুনাথগঞ্জে মঙ্গলবার। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়।
একে পড়েছে রমজান মাস, তায় জামাইষষ্ঠী। বাজারে আগুন লেগেছে।
রাতারাতি লাফিয়ে বেড়ে গিয়েছে ফলের দাম। সব্জিও কম যাচ্ছে না।
কৃষ্ণনগর, নবদ্বীপ, বহরমপুর, কান্দি বা বেলডাঙার বেশির ভাগ বাজারে সোমবারও হিমসাগর আম ২০-২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। মঙ্গলবার হয়েছে ৪০ টাকা। বেড়েছে বোম্বাই আর ল্যাংড়ার দামও।
বেলডাঙা বাজারে ৬০ টাকার লিচু বেড়ে ১৫০ টাকায় ঠেকেছে। শসা ১৫ টাকা থেকে হয়েছে ৩৫ টাকা। মর্তমান কলার জোড়া ১২ টাকা। আপেল কেজিতে ১৫০-১৬০ টাকা। তালশাঁস দশ টাকায় চারটে।
ডাবের দামও বেড়েছে হু-হু করে। এমনিতেই ২০-২৫ টাকার নীচে ডাব নেই। কান্দি বাজারে গলদঘর্ম হয়ে ফল কিনতে এসে বাজেট মেলাতে পারছিলেন না দীপালি ত্রিবেদী। নিবেদিতা বড়ালের আবার এ বারই প্রথম জামাই আসছে ষষ্ঠীতে। তাই কোনও দিকে খামতি রাখতে চান না। বলেন, “সব্জি আর ফলের বাজারেই হাজার খানেক টাকা লাগল। এখনও মাছ-মাংস-মিষ্টি বাকি!”
সব শাশুড়ি অবশ্য এই চিরাচরিত পদ্ধতিতে জামাই আদরে রাজি নন। বা, পেরেও উঠছেন না। নবদ্বীপের মতো শহরে যেমন রেস্তোরাঁয় টেবিল বুক করে জামাইআদর জনপ্রিয় হচ্ছে। কৃষ্ণনগরে এক রেস্তোরাঁয় জামাইদের রুপোর থালা-বাটিতে পরিবেশন করা হবে ভাত, পোলাও, কচুর শাক, মুগডাল, বেগুনভাজা, পনির, ধোঁকার ডালনা, চিংড়ির মালাইকারি, মাংস, আমের চাটনি, পাঁপড়, রসগোল্লা আর ডাবের পায়েস। শেষে পান। দাম ৫৫০ টাকা। আলাদা মিলবে চিতল, ইলিশ এবং পমফ্রেটও। আর এক রেস্তোরাঁয় আবার শাঁসওয়ালা ডাবের মধ্যে গলদা চিংড়ি আর বাদ বাকি সব ধরে গোটা থালি ৩০০ টাকা। বহরমপুরের এক রেস্তোরাঁয় গোটা মুরগি দিয়ে তৈরি চিকেন আফগানি কাবাব, দাম ৪৪০ টাকা। সেই সঙ্গে চিরাচরিত সরষে বাটা দিয়ে পাবদার ঝাল (১৭৫ টাকা) আর ইলিশ ভাপা(২১০ টাকা) তো থাকছেই।
বাজারে না হয় শ্বশুর-শাশুড়ির হাত একটু পুড়লই, জামাই বাবাজীবনের মন জুড়োলেই হল!