তখনও চলছে তাণ্ডব।— নিজস্ব চিত্র।
বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল বেশ কয়েকদিন আগেই। মাইকে সে প্রচারও চলেছিল। টানা বেশ কয়েকদিন ধরে।
ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন জবরদখলকারী তড়িঘরি দোকানের জিনিসপত্র সরিয়েও নিয়েছিলেন। সোমবার অন্য জবরদখলকারীদেরও সরে যাওয়ার জন্য তাড়া দেন হাসপাতালের সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। সেই নিয়ে প্রথমে বচসা, তারপরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বর।
অভিযোগ, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও নতুন বহির্বিভাগে ঢুকে জিনিসপত্র ভাঙচুরের পাশাপাশি জবরদখলকারীদের একাংশ সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের লক্ষ্য করে বেশ খানিকক্ষণ ধরে ইট-পাথর ছোড়ে। ইটের ঘায়ে উপহার খাতুন নামে সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মীর মাথা ফেটে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই অবশ্য জবরদখলকারীরা হাসপাতাল চত্বর ছেড়ে পালায়। মিনিট দশেক ধরে চলে ওই তাণ্ডব।
এ দিনের ঘটনায় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে পুলিশ সোমবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। বহরমপুরের আইসি শৈলেনকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘‘হাসপাতাল চত্বরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’’
হাসপাতালে আচমকা এমন ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন রোগীরা। কেউ হাসপাতাল চত্বরে ছোটাছুটি করতে থাকেন। কেউ হাসপাতালের প্রতীক্ষালয়ে ঢুকে পড়েন। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে তাঁরা হাসপাতালে ফিরে আসেন।
হাসপাতালের সুপার তথা সহ-অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল বলেন, ‘‘হাসপাতাল চত্বর থেকে সমস্ত জবরদখলকারীদের সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এমনকী তাদের সাত দিন সময়ও দেওয়া হয়। কিন্তু এ দিন জবরদখলকারীরা হাসপাতাল চত্বরে গণ্ডগোল পাকানোর উদ্দেশ্যে জড়ো হয়। সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা তাদের হঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা হাসপাতালে ঢুকে এমন কাণ্ড করে।’’ জবরদখলকারীদের দাবি, তাঁদের মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে। সুপারের সঙ্গেই তাঁরা দেখা করতেই হাসপাতালে যান।’’