শেষ প্রচারেও নজরে গুরু-শিষ্য

বহরমপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অপূর্ব সরকার যেখানে দলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীকে সঙ্গে নিয়ে প্রচার সারলেন, সেখানে ‘স্কটিশ হ্যাট’ মাথায় কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী ঘুরলেন হুড-খোলা জিপে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কান্দি ও বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৪০
Share:

শেষ প্রচারে সাধারণ মানুষের মন জয় করতে শনিবার সকাল থেকে কান্দি শহর দাপিয়ে বেড়ালেন ‘গুরু-শিষ্য’।

Advertisement

বহরমপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অপূর্ব সরকার যেখানে দলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীকে সঙ্গে নিয়ে প্রচার সারলেন, সেখানে ‘স্কটিশ হ্যাট’ মাথায় কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী ঘুরলেন হুড-খোলা জিপে। এলাকার কচি-কাঁচাদের উদ্দেশে মুঠো ভরে ছুড়ে দেন চকোলেট। অপূর্ব’র খাসতালুক কান্দির মঠতলা মোড়, আদিরাপাড়া, পিরতলা হয়ে কান্দি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছতেই অধীরের লেগে যায় পাক্কা দু’ঘন্টা। ওই বিকেলে আবার ‘অধীর-গড়’ বহরমপুরে রোড-শো করেন অপূর্ব। বহরমপুরের কুঞ্জঘাটা থেকে তৃণমূলের সমর্থনে মিছিল শুরু হয়। পরে এই মিছিল গোরাবাজার নিমতলার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। গুরু-শিষ্য—দু’জনেই নিজেদের প্রচারে একে-অপরকে টক্কর দেওয়ার চেষ্টা করেন। প্রচারের শেষ দিনে নিজের খাসতালুক ভরতপুর-সালারে নিজেকে আটকে রেখেছিলেন আরএসপি প্রার্থী ঈদ মহম্মদ।

এ দিন বহরমপুর কেন্দ্রের রেজিনগর বিধানসভা এলাকায় মোটরবাইক মিছিল করে প্রচার সেরেছে বিজেপি। সেখানে বহরমপুরের প্রার্থী কৃষ্ণ জোয়ারদার আর্য হাজির ছিলেন না। তখন তিনি ছিলেন বেলডাঙার মহুলায়। তার আগে বহরমপুরের কর্ণসুবর্ণ, যদুপুর, কাঁঠালিয়া, সাটুই, চিরুটি, চরমহুলা এলাকায় কখনও পায়ে হেঁটে, কখনও গাড়িতে চড়ে ভোট প্রচার করেছেন বিজেপি’র প্রার্থী।

Advertisement

ভোট প্রচারের শেষ দিনেও বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার থেকে সাধারণ মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন কংগ্রেস ও তৃণমূলের প্রার্থী।

এ দিন সকাল থেকেই হুডখোলা জিপে জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস ও কান্দি মহকুমা কংগ্রেস সভাপতি বনু খানকে সঙ্গে নিয়ে পুরসভার ছাতিনাকান্দি এলাকায় প্রচার সারেন অধীর। সেখানে প্রচার শেষ করে ভোলানাথপুর হয়ে অধীরের প্রচার গাড়ি কান্দি আসে। সঙ্গে ছিল শতাধিক মোটরবাইক ও তাসাপার্টি।

কান্দিতেই পরিবহণমন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীকে সঙ্গে নিয়ে অপূর্ব সরকার কান্দি বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া ডোবের মাঠ থেকে প্রচার শুরু করেন। শেষ প্রচারে ছিল ঢাক-ঢোল।

ওই প্রচার মিছিলে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের পরিবারের সদস্যরা ফুলের মালা পরিয়ে, ফুল ছড়িয়ে দেন। প্রচার শেষে শুভেন্দু বলেন, “অধীরবাবুর সঙ্গে রয়েছে সংবাদমাধ্যম ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর আমাদের সঙ্গে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।”

পাল্টা অধীর বলছেন, “কে কী বলল তাতে আমার কিছু এসে যায় না। আমি একটাই কথা বলতে পারি, মুর্শিদাবাদ জেলাকে ফের আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনব। কান্দির মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে দিচ্ছে মানুষ কার সঙ্গে আছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন