(বাঁদিকে) বুধবার। (ডানদিকে) সেই ভবনই বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
ছিল সাদা দেওয়ালে হাত চিহ্ন। রাতারাতি সেটাই পাল্টে গিয়ে গেরুয়া, উড়ছে পদ্ম পতাকা।
রানাঘাট ১ ব্লক কংগ্রসের সভাপতি স্বপন ঘোষ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই কংগ্রেস কার্যালয়ের এই ভোলবদল। যা নিয়ে শুরু রয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও।
বুধবার তাহেরপুরে নরেন্দ্র মোদীর সভায় স্বপন বিজেপিতে যোগ দেন। দলত্যাগ করার পরে তিনি এখনও এই অফিস খোলেননি। রানাঘাট শহরের বিজেপি জেলা কার্যালয়ে বসেছিলেন। সেখানে রানাঘাট লোকসভার বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারে সঙ্গে বসে নানা আলোচনাও করেছেন।
তা বলে কি কংগ্রেস কার্যালয়ই হস্তান্তর হয়ে যাবে?
রানাঘাট থানার কোর্ট মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে পায়রাডাঙা যাওয়ার পথে ডান দিকে রাস্তার ধারে এই ভবন। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “এত দিন সব কংগ্রেস-কংগ্রেস করে চিৎকার করল। এখন সব বিজেপি হয়ে গেল? এমনকি কার্যালয়ও পাল্টে গেল? আগে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরেও নানা জায়গায় সিপিএম পার্টি অফিসের একই দশা হয়েছিল!’’
তবে স্বপনের দাবি, ‘‘এটা সরাসরি কংগ্রেসের কার্যালয় নয়। আমিই এক সময়ে এই কার্যালয় করেছিলাম। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর নামে আমাদের একটি সংগঠন রয়েছে। সেই কারণেই কার্যালয়ের ‘রাজীব ভবন’ নামকরণ করা হয়। এখান থেকে সমাজসেবামূলক কাজকর্ম করা হয়।’’
অর্থাৎ, রাজীব ভবনের গেরুয়া বর্ণ ধারণে স্বপন দোষের কিছু দেখছেন না। তাঁর দাবি, ‘‘সবাই এখানে আসে। এখন আমি বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। সেই কারণে এখানে কয়েকটা পতাকা টাঙানো হয়েছে। এই নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। আগেও এই অফিসে মানুষের জন্য কাজ হয়েছে, এখনও সেটাই হবে।”
জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক নৌশাদ আলি অবশ্য পাল্টা বলেন, “এটা আমাদের দলের কার্যালয়। আনুলিয়া অঞ্চল কংগ্রেসের কার্যালয়। পনেরো বছর আগে তৈরি করা হয়েছিল। এখন স্বপন ঘোষ নানা কথা বলছেন। দল তাঁকে পনেরো বছর ব্লকের সভাপতি করেছিল। তাঁর স্ত্রীকে এক বার আনুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও তাঁকে উপপ্রধান করেছিল। বিজেপিতে যোগ দিয়ে সে সব ভুলে গিয়েছেন। আমাদের কার্যালয়কে বিজেপির হাতে তুলে দিয়েছেন। এটা আমরা মেনে নেব না।” মেনে না নিয়ে কী করবেন, তা অবশ্য জানা যায়নি।