রত্না ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল না মেটালে তৃতীয় কোনও মুখ তুলে আনা হবে বলে চাকদহের বিধায়ক তথা মন্ত্রী রত্না ঘোষ এবং সেখানকার পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান দীপক চক্রবর্তীকে সতর্ক করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষ্ণনগর রবীন্দ্রভবনে বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকে সকলের সামনেই রত্নাকে সতর্ক করে মমতা বলেন, “দু’জনকে বাদ দিলেই ঠিক হয়ে যাবে। তখন সেখান থেকে থার্ড পার্টি কেউ আসবে।”
এ দিন প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জেলার বিধায়কদের কাছ থেকে তাঁদের এলাকার সমস্যার কথা শুনতে চান। এক-এক করে বিধায়ককে তুলে উন্নয়নমূলক কোন কাজের প্রয়োজন আছে তা জানতে চান তিনি। রত্নার কাছে জানতে চান, চঞ্চল দেবনাথের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া মিটেছে কি না। তার পরেই দীপকের নাম তোলেন তিনি।
চাকদহের সংগঠনে কার প্রভাব থাকবে, তা নিয়ে রত্নার সঙ্গে দীপকের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। শুধু জেলার নেতারাই নয়, স্বয়ং নেত্রী নিজে একাধিক বৈঠকে এই ঝগড়া মিটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তা মেটেনি। এই নিয়ে বারবার অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে দলকে। লোকসভা ভোটে এমনিতেই চাকদহে বিজেপির তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। তার উপরে সামনেই পুরসভা নির্বাচন। গোষ্ঠী কোন্দল না মিটলে পুরভোটে তৃণমূল কঠিন পরিস্থিতিতে পড়বে বলে সকলেই মনে করছেন। রত্না অবশ্য এই নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। আর দীপককে বারবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
প্রশাসনিক সভায় রানাঘাট উত্তর-পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সমীর পোদ্দার এ দিন অভিযোগ করেন, তাঁর এলাকায় বাংলা সড়ক যোজনার দু’টি রাস্তা তৈরির কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে আছে। ঠিকাদার ফোন ধরেন না। জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডুও একই অভিযোগ করেন। ওই ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করতে এবং তাঁর থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করে কাজ শেষ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসককে নির্দেশ দেন।