Murshidabad

ইদে মোটরবাইক ‘উপহার’ না-পেয়ে স্ত্রীকে খুন! মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে গ্রেফতার সৌদি ফেরত স্বামী

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম রুকসানা খাতুন। ২১ বছরের রুকসানার বাড়ি জিয়াগঞ্জ শহরের আমিনাবাজার এলাকায়। রবিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

জিয়াগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৪০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

শ্বশুরবাড়ি থেকে মোটরবাইক ‘উপহার’ না-পেয়ে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থানা এলাকায় এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম রুকসানা খাতুন। ২১ বছরের রুকসানার বাড়ি জিয়াগঞ্জ শহরের আমিনাবাজার এলাকায়। রবিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর চারেক আগে সাগরদিঘির দস্তুরহাট গ্রামের বাসিন্দা রুকসানার সঙ্গে জিয়াগঞ্জের আমিনাবাজার এলাকার বাসিন্দা নেশকাতুন ইসলাম নামে এক যুবকের বিয়ে হয়। এক কন্যাসন্তানের মা রুকসানা জিয়াগঞ্জ শ্রীপত সিংহ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। রুকসানার স্বামী গত কয়েক বছর ধরে সৌদি আরবে কাজ করতেন। ওই কারণে রুকসানা মেয়েকে নিয়ে দস্তুরহাট গ্রামে বাপের বাড়িতে থাকতেন। মাসখানেক আগে ভিন্‌দেশ থেকে বাড়ি ফেরেন রুকসানার স্বামী। রুকসানাও শ্বশুরবাড়ি যান। তার পরেই এই ঘটনা।

Advertisement

মৃতার এক দাদা ওবায়দুল্লাহ শেখ বলেন, ‘‘বিয়েতে প্রচুর যৌতুক দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও আরও টাকা এবং জিনিসের দাবিতে চাপ দেওয়া হত আমাদের বোনকে। এ বার জামাই দামি মোটরবাইক চেয়েছিল। সেটা দিতে দেরি হওয়ার জন্য বোনকে খুন করেছে।’’ মৃতার মায়ের অভিযোগ, ‘‘সৌদি থেকে ফিরে এসে রুকসানার স্বামী একটি মোটরসাইকেল দেওয়ার দাবি জানাতে থাকে। আমরা কথা দিয়েছিলাম, ইদের পর ওকে নতুন মোটরবাইক কিনে দেব। তার মধ্যে রবিবার আমরা জানতে পারি যে রুকসানা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। হাসপাতালে গিয়ে দেখি ও আর বেঁচে নেই!’’ রুকসানার মায়ের অভিযোগ, জামাই এবং তাঁর পরিবারের লোকজন তাঁর মেয়েকে বিষ প্রয়োগ করে খুন করেছে। তিনি বলেন, ‘‘পণের দাবি সময় মতো মেটাতে না পারায় মেয়েটাকে খুন করেছে।’’

ইতিমধ্যে মৃতার পরিবারের তরফ থেকে থানায় অভিযোগ জানা হয়েছে মৃতার স্বামী, শ্বশুর এবং চার ননদের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে জিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ রুকসানার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন