— প্রতীকী চিত্র।
‘লালবাজারের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসার’ সেজে বাড়ি বাড়ি ঢুকে তল্লাশির নামে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেছিলেন এক যুবক! অভিযোগ, টাকা না-দিলে গ্রেফতারির ভয় দেখিয়ে ফাঁদে ফেলেছিলেন গ্রামবাসীদের। অবশেষে বুধবার রাতে মেমারি থানার পুলিশের জালে ধরা পড়ল সেই যুবক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম মণিরুল শেখ ওরফে মণি। তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর এলাকায়। ধৃতকে বৃহস্পতিবার দুপুরে বর্ধমান সিজেএম আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে পালসিট ফাঁড়ি এলাকার ভৈটা গ্রামে আদিবাসী মহিলা কাকলি হেমব্রমের বাড়িতে যান মণি। নিজেকে ‘লালবাজারের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসার’ বলে একটি পরিচয়পত্র (আই কার্ড) দেখান তিনি। এর পরেই শুরু হয় তল্লাশি। ঘরে থাকা পোস্ত-সহ অন্যান্য জিনিসের তিনি বিল দেখতে চান। কাকলি জানান, সেগুলি স্থানীয় দোকান থেকে কেনা। অভিযোগ, যুবক হুমকি দেন, ১০ হাজার টাকা না দিলে তাঁকে বা তাঁর ছেলেকে জেলে পুরে দেবেন। ভীত হয়ে কাকলি তাঁকে ১০০০ টাকা দেন।
যুবক চলে যাওয়ার পরে কাকলি প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান। তখন তিনি জানতে পারেন, গ্রামের আরও দু’জনের বাড়িতে গিয়ে একই ভাবে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করেছেন ওই যুবক। এর পরেই গ্রামবাসীরা মণিকে খোঁজা শুরু করেন। স্থানীয় এক জনের বাড়িতে তাঁকে দেখতে পেয়ে ধরে ফেলেন এবং আটকে রেখে মেমারি থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রতারণার অভিযোগে যুবককে গ্রেফতার করে। ধৃতের সঙ্গে আর কেউ এই ঘটনায় জড়িত রয়েছেন কি না, সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।