BJP

ভুয়ো মৎস্যজীবীর নামে ত্রাণ, নালিশ বিজেপির

নাকাশিপাড়া ব্লক অফিস সূত্রে জানা যায়, আমপান ঝড়ে রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবীদের চারা মাছ ও বেশ কিছু সামগ্রী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

নাকাশিপাড়া শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২০ ০৭:৩৭
Share:

সেই পোস্টার। নিজস্ব চিত্র

আমপানের পর এ বার ভুয়ো মৎস্যজীবী সাজিয়ে সরকারি টাকা নয়-ছয়ের অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির দিকে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল নেতা ও তাঁদের পরিবারের লোকজনের নামে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। বিজেপির নাকাশিপাড়া জেডপি সহ-সভাপতি দেবব্রত চক্রবর্তী বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।

Advertisement

সোমবার সকালে নানা সরকারি দপ্তরের সামনে পোস্টারও পড়ে। তাতে লেখা— ‘৭০ জন ভুয়ো মৎস্যজীবীর নামে জনগণের টাকা নয়-ছয় কার স্বার্থে পঞ্চায়েত সমিতি জবাব দাও’। নীচেই লেখা ‘ভারতীয় জনতা পার্টি, নাকাশিপাড়া ব্লক’।

নাকাশিপাড়া ব্লক অফিস সূত্রে জানা যায়, আমপান ঝড়ে রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবীদের চারা মাছ ও বেশ কিছু সামগ্রী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। তারই সঙ্গে আর্থিক সাহায্য বাবদ ২৬০০ টাকা দেওয়ারও নির্দেশ ছিল। সেই নিয়মে ৭০ জন মৎস্যজীবী ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন, যার অধিকাংশ ভুয়ো বলে বিজেপির অভিযোগ। তাদের দাবি, মাছের ব্যবসা বা চাষের সঙ্গে যুক্ত নয় এ রকম লোকজনকে এই আওতায় আনা হয়েছে। এ ছাড়াও ওই তালিকায় তৃণমূলের নেতা ও আত্মীয়স্বজনের নাম রয়েছে।

Advertisement

অভিযোগের মূল নিশানা তৃণমূল পরিচালিত নাকাশিপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতির স্বামী সুশান্ত মল্লিক এবং আর এক সদস্য নীলা দাসের স্বামী রঞ্জিত দাসের বিরুদ্ধ। ওই তালিকায় তাঁদের নাম রয়েছে। আর এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তপন দত্ত নিজের নামেই আর্থিক সাহায্য ও অন্য সামগ্রী নিয়েছেন। সুশান্ত মল্লিক অবশ্য সদাবি করেন, “এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।” তপন দত্তের দাবি, “এই বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। আমার নামে টাকা উঠেছে কিনা তা তদন্ত করে দেখলেই বোঝা যাবে।” রঞ্জিত দাস আবার বলেন, “আমি এক জন মৎস্য ব্যবসায়ী। মাছও ধরি। আমার ক্ষতি হলে কি আমি আবেদন করতে পারব না?” তাঁর দাবি, তিনি আবেদন করেছিলেনন ঠিকই তবে টাকা পাননি। রাজনৈতিক ভাবে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।

বিজেপির দেবব্রত চক্রবর্তীর দাবি, “পঞ্চায়েত সমিতির বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি চলছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ এর জবাব দেবে।” নাকাশিপাড়ার বিডিও কল্লোল বিশ্বাস বলেন, “মৎস্য দফতরকে অভিযোগের তদন্ত করতে জন্য বলা হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন