Corona

করোনা-যুদ্ধে ‘অস্ত্র’ মাস্ক-ই

দেশের কয়েকটি রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, কেরল, কর্নাটক ও গুজরাতে অবস্থা খারাপ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২১ ০৫:৪৬
Share:

—প্রতীকী ছবি।

মাঝে করোনা সংক্রমণ কমেছিল। কিন্তু গত দু’ সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতিদিন ২-৪ জন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় দুশ্চিন্তা বেড়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের। এই আবহে সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনার সুরক্ষাবিধি নিয়ে শিথিলতাও তাঁদের চিন্তায় রেখেছে। অনেকেই মাস্ক ছাড়া পথেঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শারীরিক দূরত্ববিধিও শিকেয়।

Advertisement

দেশের কয়েকটি রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, কেরল, কর্নাটক ও গুজরাতে অবস্থা খারাপ। করোনা সংক্রমণ রুখতে ওই সব রাজ্যের কোথাও কোথাও লকডাউনও শুরু হয়েছে। এ রাজ্যে এমন পরিস্থিতি যাতে না আসে সেই জন্য চিকিৎসকরা যথাযথ সুরক্ষাবিধি মানার ক্ষেত্রে জোর দিয়েছেন। চিকিৎসকদের হুঁশিয়ারি, সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া রাস্তায় বেরোলে সংক্রমণ আরও ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারে। করোনার প্রতিষেধক নেওয়ার পাশাপাশি মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা, ঘন ঘন হাত স্যানিটাইজ় করার বিষয়ে জোর দিচ্ছেন তাঁরা। মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘মাঝে করোনা সংক্রমণ একেবারে হচ্ছিল না। ফের কিছুদিন ধরে দৈনিক ২-৪ জন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। আমরা নজরদারি বাড়িয়েছি। তবে বাসিন্দাদেরও বলব, সুরক্ষাবিধি মেনে চলুন।’’ জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এক সময় জেলায় দৈনিক দু’হাজার করে করোনা পরীক্ষা করা হত। এখন তা কমে দৈনিক ৬০০-৭০০ জনের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর বিষয়েও জেলা স্বাস্থ্য দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে, রবিবার পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে ২ লক্ষ ২১ হাজার ব্যক্তিকে করোনার প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement