ফাইল চিত্র।
তাঁর চেনা দুর্গেও ফাটল ধরল এ বার। ফরাক্কার রাজনীতিতে কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হকের প্রতিপত্তি নিয়ে সাম্প্রতিক কালে তেমন প্রশ্ন ওঠেনি। সন্দেহটা দানা বাঁধছে, তাঁর একান্ত অনুগামী হিসেবে পরিচিত স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ আট জনের শাসক দলে নাম লেখানোয়।
বৃহস্পতিবার, ফরাক্কা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মামণি হালদার, সহ সভাপতি এবং আট জন কর্মাধ্যক্ষ যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। দলবদল ঘটল ঠিক সেদিনই যে দিন মইনুল দলের কাজে দিল্লিতে রয়েছেন।
দলবদলের খবর শুনে দিল্লি থেকে তিনি বলেন, ‘‘মাস ছয়েক পরে পঞ্চায়েত নির্বাচন। নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করেও আমাকে দলে টানতে পারেনি তৃণমূল।’’ তবে তিনি জানান, কখনও ‘প্রলোভ’ দেখিয়ে কখনও বা ‘ভয়’, তাঁর দলের বহু নেতা-কর্মীকে দলে টানছে তৃণমূল। তাঁর কথায়, ‘‘তবে, মনে রাখবেন কংগ্রেসের দুর্গে ফাটল ধরানো সহজ নয়।’’
দীর্ঘদিন ধরেই ফরাক্কায় পঞ্চায়েত সমিতি এবং ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত কংগ্রেসের দখলে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৪৭টি পঞ্চায়েতেরে মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল মাত্র ৭টি। ২৭টি পঞ্চায়েত সমিতি ও ৩টি জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে একটিও পায়নি তৃণমূল।
এমনকী, ২০১৪ সালের লোকসভা ও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও ৪০ ও ২৮ হাজার ব্যবধানে তৃণমূলকে হারিয়েছিল কংগ্রেস।