Nadia

অণ্ডকোষে সেফটিপিন ফোটানো! ঘরে ঢুকে রক্তাক্ত স্বামীকে দেখে আঁতকে উঠলেন স্ত্রী

স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কিছু দিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর বনিবনা হচ্ছিল না। স্ত্রীকে বাপের বাড়িতে রেখে এসেছিলেন ওই ব্যক্তি। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্ত্রী বাড়িতে ফিরে দেখেন স্বামীর নিথর শরীর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিপুর শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ১০:৩৭
Share:

ঘরে ঢুকে স্ত্রী দেখেন বিছানায় পড়ে রয়েছে স্বামীর রক্তাক্ত দেহ। শরীরের নিম্নাংশ রক্তে ভেসে গিয়েছে। আর অণ্ডকোষে ফোটানো একটি সেফটিপিন। —প্রতীকী চিত্র।

বেশ কিছু দিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর বনিবনা হচ্ছিল না। স্ত্রী ছিলেন বাপের বাড়িতে। শুক্রবার স্বামীর বাড়িতে ফিরেই আঁতকে উঠলেন স্ত্রী। ঘরে ঢুকে দেখলেন বিছানায় পড়ে রয়েছে স্বামীর রক্তাক্ত দেহ। শরীরের নিম্নাংশ রক্তে ভেসে গিয়েছে। আর অণ্ডকোষে ফোটানো একটি সেফটিপিন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার শান্তিপুর থানা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম মলয় বসাক।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম মলয় বসাক। বছর চল্লিশের মলয় পেশায় টোটোচালক। ছেলে এবং স্ত্রীকে নিয়ে তাঁর সংসার। তবে বেশ কিছু দিন ধরে দাম্পত্যকলহ চলছিল। প্রতিবেশীদের একাংশ জানাচ্ছেন, অশান্তির সূত্রপাত মলয়ের স্ত্রীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে। মলয়ের সন্দেহ ছিল, স্ত্রী অন্য পুরুষে আসক্ত। এ নিয়ে গ্রামে এক বার সালিশি সভা বসেছিল। তার পর স্ত্রীকে তাঁর বাপের বাড়িতে ছেড়ে আসেন মলয়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে স্ত্রীকে তাঁর বাপের বাড়িতে রেখে আসেন মলয়। তবে শুক্রবার সন্ধ্যায় স্ত্রী নিজে শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসেন। কিন্তু তিনি ঘরে ঢুকে দেখেন বিছানায় পড়ে রয়েছেন স্বামী। তাঁর অণ্ডকোষে একটি সেফটিপিন ফোটানো রয়েছে। ওই মহিলার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার পুলিশ।

Advertisement

কী ভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মানসিক হতাশা থেকে এমনটা করে থাকতে পারেন ওই ব্যক্তি। ইতিমধ্যে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। চলছে মৃতের পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন