Coopers Camp

আবিরের অনুগামী কুপার্সের দায়িত্বে    

স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিলীপ এবং পিন্টু উভয়েই এলাকায় দক্ষ সংগঠক বলে পরিচিত। উভয়ের মধ্যে ঠান্ডা লড়াইয়ের কথা শহরের অনেকেরই জানা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

রানাঘাট শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২০ ০১:০৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

উদ্বাস্তু শহর কুপার্স ক্যাম্পে তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব পেলেন দিলীপকুমার দাস। কুপার্স ক্যাম্প নোটিফায়েডের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিলীপ সাংসদ আবিররঞ্জন বিশ্বাসের কাছের লোক বলে পরিচিত।

Advertisement

রবিবার দিলীপকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর আগে এই শহরের দায়িত্বে ছিলেন কুপার্স নোটিফায়েডের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পিন্টু দত্ত।

স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিলীপ এবং পিন্টু উভয়েই এলাকায় দক্ষ সংগঠক বলে পরিচিত। উভয়ের মধ্যে ঠান্ডা লড়াইয়ের কথা শহরের অনেকেরই জানা। ২০১১ সালের নভেম্বর থেকে ছ’বছর শহরে দলের সভাপতি ছিলেন দিলীপ। তিনি শহরের প্রথম তৃণমূল কাউন্সিলর ছিলেন। তিন বছর আগে তাঁকে সরিয়ে পিন্টুকে সভাপতি করেছিল দল।

Advertisement

কেন এই পরিবর্তন? এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ বলেন, “এটা আমি বলতে পারব না। এতটুকু বলতে পারি, দল আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। সবাইকে নিয়ে দল পরিচালনা করব। যারা বসে গিয়েছিল তাদের ডাকব।”

পিন্টু বলেন, “আমাদের দলের একমাত্র নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি সেই দলের সৈনিক। দলের মনে হয়েছে, তাই আমাকে সরিয়ে দিয়েছে। যে দায়িত্বে এসেছে, তার সঙ্গে সহযোগিতা করব।”

পিন্টু অনুগামী এক কর্মী বলেন, “দাদা শহরের দায়িত্ব পাওয়ার পর দলের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে। গুরুত্ব দিয়ে দলের প্রতিটা কর্মসূচি পালন করেছে। কুপার্স নোটিফায়েড এবং ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা গঠিত। গত লোকসভা নির্বাচনে এই বিধানসভায় ৪৬ হাজারের বেশি ভোটে আমাদের দল হেরেছিল। সেই সময় কুপার্স মাত্র ন’শোর কিছু বেশি ভোটে পিছিয়ে ছিল।’’

দিলীপ অনুগামী এক কর্মীর কথায়, ‘‘গত তিন বছর দাদা দলের কোনও পদের দায়িত্বে না থাকা সত্ত্বেও মানুষের জন্য কাজ করেছেন। এ বার দল তারই সম্মান দিয়েছে। দাদা সবাইকে নিয়ে চলতে পারে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন