Death

‘চুরি’ করে পালানোর সময় ঝাড়খণ্ডে কুয়োয় পড়ে মৃত ভগবানগোলার যুবক, কাঠগড়ায় ঠিকাদারি সংস্থা

মৃত রেজাউল শেখ মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার বাসিন্দা। শুক্রবার একটি ঠিকাদারি সংস্থা ঝাড়খণ্ডের খাজা এলাকায় কাজে নিয়ে যান তাঁকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ভগবানগোলা শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৩ ১৬:২৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভিন্‌রাজ্যে কাজে গিয়ে কুয়োয় পড়ে মৃত্যু হল মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার এক যুবকের। ওই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি সংস্থার বিরুদ্ধে। মৃতের পরিবারের দাবি, চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক জন যুবককে নিয়ে গিয়ে তাঁদের রাতের অন্ধকারে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পাইপ লাইনের যন্ত্রাংশ চুরি করানো হচ্ছিল। সেই সময় কুয়োয় পড়ে ওই যুবকের মৃত্যু হয় বলে দাবি পরিবারের। ঘটনার পর থেকে পলাতক ওই ঠিকাদার।

Advertisement

ওই যুবকের নাম রেজাউল শেখ (২৯)। তিনি মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা থানা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার একটি ঠিকাদারি সংস্থার মাধ্যমে ঝাড়খণ্ডের খাজা থানা এলাকায় কাজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁদের। প্রাথমিক ভাবে তাঁদের নির্মাণ শ্রমিকের কাজ দেওয়ার কথা থাকলেও, ঝাড়খণ্ড পৌঁছনোর পর তাঁদের দিয়ে বিভিন্ন সংস্থার পাইপ লাইনের যন্ত্রাংশ চুরি করতে বাধ্য করা হযত বলে অভিযোগ। শনিবার সকলে কাজ থেকে ফিরলেও, ঘরে ফেরেননি রেজাউল। তাঁর পরিবারের দাবি, এ নিয়ে ঠিকাদারের বাড়িতে যোগাযোগ করা হলেও তাঁর তরফে কোনও সহযোগিতা মেলেনি। এর পর বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য রেজাউলের পরিবারকে ওই ঠিকাদারের তরফে দেড় লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় বলেও দাবি রেজাউলের পরিবারের। তাঁদের বক্তব্য, তখনও রেজাউলের মৃত্যুর খবর জানাননি ঠিকাদার। পরবর্তী কালে ঝাড়খণ্ডের অন্য এক শ্রমিকের মাধ্যমে রেজাউলের মৃত্যুর খবর পায় তাঁর পরিবার। বিষয়টি জানানো হয় ঝাড়খণ্ড পুলিশকে। ঝাড়খণ্ড পুলিশের উদ্যোগে রেজাউলের দেহ উদ্ধার হয়। বুধবার ভগবানগোলার বাড়িতে রেজাউলের শেষকৃত্য হয়।

রেজাউলের আত্মীয় মারজুম শেখ বলেন, ‘‘রাজমিস্ত্রির কাজ বলে বাড়ি থেকে ও গিয়েছিল। পরে শুনছি জিনিসপত্র চুরি করে পালানোর সময় কুয়োতে পড়ে মারা গেছে । ওই ঠিকাদার সব জানে। ওই চুরি করাতো তাই ওর ফাঁসি চাই।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন