Indian railways

শিয়ালদহের পথে ভরছে কামরা

প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানোর এবং টিকিট কাটার ক্ষেত্রে বিধি নিষেধের কড়াকড়ি ছিল। তবে ট্রেনের কামরায় দূরত্ববিধি শিকেয় উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২০ ০১:৪৬
Share:

ভিড়ের চেহারা পাল্টে যাচ্ছে ভূগোল বুঝে। প্রান্তিক স্টেশন কৃষ্ণনগরে তত ঠাসাঠাসি নেই ট্রেনের কামরায়। দক্ষিণে শিয়ালদহের পথে রানাঘাট স্টেশনে কিন্তু লোকসমাগম অনেক বেশি। বৃহস্পতিবার। ছবি: প্রণব দেবনাথ

হাওড়ার পথে তুলনামূলক ফিকে, শিয়ালদহ লাইনে মোটামুটি ভিড়— বৃহস্পতিবার, দ্বিতীয় দিনেও এ-ই রইল নদিয়ার রেলচিত্র।

Advertisement

কৃষ্ণনগর বা শান্তিপুরের মতো প্রান্তিক স্টেশনে তত ভিড় না হলেও সকালের দিকে ট্রেন যত দক্ষিণের দিকে এগিয়েছে তত ভিড় বেড়েছে। আবার সন্ধে থেকে রাত আপ ট্রেন এসেছে কল্যাণী থেকে ফাঁকা হতে-হতে। তবে লকডাউনের আগের তুলনায় ভিড় এখনও কমই।

প্রায় আট মাস পরে চালু হওয়া লোকাল ট্রেন বা ইএমইউ লালগোলা প্যাসেঞ্জারে কেমন ভিড় হতে পারে তার আভাস মিলেছিল বুধবারই। এ দিনও কমবেশি একই ছবি। কোথাও-কোথাও লোকসমাগম একটু কম। কিছু স্টেশন চত্বরে দেখা বিধি রক্ষার কড়াকড়ি দেখা গিয়েছে এ দিনও। বিশেষত প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানোর এবং টিকিট কাটার ক্ষেত্রে বিধি নিষেধের কড়াকড়ি ছিল। তবে ট্রেনের কামরায় দূরত্ববিধি শিকেয় উঠেছে। নবদ্বীপ ধাম স্টেশন ছুঁয়ে যাওয়া ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখায় অবশ্য ট্রেনের কামরা এ দিনও ছিল বেশ ফাঁকা।

Advertisement

এ দিন ভোর থেকেই চাকদহের শিমুরালি রেল স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের বেশ ভিড়। বেশির ভাগের মুখেই মাস্ক ছিল। মাস্ক ছিল বুকিং ক্লার্কদের মুখেও। টিকিট কাউন্টারের সামনে থার্মাল গান তাপমাত্রা পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল। তবে গত দু’দিনে কোনও স্টেশনেই কাউকে তেমন জ্বর নিয়ে টিকিট কাটতে আসতে দেখা যায়নি বলে রেলপুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। নিত্যযাত্রীরা এনেকেই ফিরেছেন পুরনো মেজাজে। কয়েক মাস পরে পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়েছে অনেকের। কামরায় বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ও হয়েছে।

ডাউন কৃষ্ণনগর লোকালের যাত্রী, চাকদহের বাসিন্দা বছর চল্লিশের সুশীল দাস বলেন, “পনেরো বছরের বেশি ধরে ট্রেনে যাতায়াত করছি। আগে তো কখনও এ রকম পরিস্থিতি হয়নি। প্রায় আট মাস পরে বন্ধুদের অনেকের মুখ দেখলাম। আগে কয়েক জনের সঙ্গে দু’এক বার ফোনে কথা হয়েছিল। খুব ভাল লাগছে। তবে এখনও লড়াই চলবে। বন্ধু হলেও দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে।”

শান্তিপুর শাখার রেলযাত্রী সমিতির সভাপতি নিখিল মজুমদার বলেন, “ট্রেনের কামরায় তো কোনও নিরাপত্তারক্ষী বা আর কারও নজর থাকছে না। সেখানে বিধি মানার বিষয়টি যাত্রীদের সচেতনতার উপরে। আমরা সকলের কাছে আবেদন করছি, যাতে দূরত্ব বিধি মেনে চলেন।”

ফল বোঝা যাবে অচিরেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement